ভিভো এস-১
ক্রিকেট মাঠ থেকে শপিং মল— এই সংস্থার বিজ্ঞাপন দেখেননি এমন লোক খুঁজে পাওয়া মুশকিল। কিন্তু আবারও ওই একই সমস্যা। সংস্থাটি চিনের। কেউ প্রশ্ন করলে বলতে পারেন, আইফোনও তো মূলত চিনেই তৈরি হয়। চিনা বলে কেন দূরে সরিয়ে রাখব। এবং অনেকেই রাখেনওনি। তাই ভারতের বাজারে নিজের অস্তিত্ব জোরদার ভাবে জানান দিচ্ছে। কথা বলব এই সংস্থার ফোন এস-১ নিয়ে। এটিই এস সিরিজের প্রথম ফোন যা ভিভো ভারতে নিয়ে এল। প্রথমেই বলতে হয় ফোনটি কেমন দেখতে। ভিভো-র দাবি, তাদের ফোন অন্য সংস্থার ফোনের থেকে বেশি দৃষ্টিনন্দন। এস-১ ও ব্যতিক্রম নয় বলে দাবি সংস্থার। এই ফোনটি ডায়মন্ড ব্ল্যাক এবং স্কাইলাইন ব্লু— এই দু’টি রঙের।
এস-১-এ রয়েছে ৬.৩৮ ইঞ্চি ওয়াটার ড্রপ নচ-সহ আমোলেড ডিসপ্লে। সব দিক থেকেই ঠিকঠাক দেখা যায়। এমনকি, বাইরের আলোয় ডিসপ্লে ঠিকমতো বোঝা যায় বলে দাবি সংস্থার। এবং এই ডিসপ্লে-তেই রয়েছে ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার। নচের জায়গায় রয়েছে সেলফি ক্যামেরাটি।
তা হলে অন্য ক্যামেরাগুলি সম্পর্কে জানানো যাক। ভিভো এস-১ এর পিছনে তিনটি ক্যামেরার ব্যবস্থা করেছে। মূল ক্যামেরাটি ১৬ মেগাপিক্সেলের। এই ক্যামেরাটিতে প্রাইমারি সেন্সর রয়েছে। সঙ্গে ৮ মেগাপিক্সেলের আল্ট্রা ওয়াইড অ্যাঙ্গেল ক্যামেরা। আর আছে ২ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা যেখানে ডেপ্থ সেন্সর রয়েছে। আর সেলফি ক্যামেরা। সেটি অত্যন্ত শক্তিশালী করেছে ভিভো। এটি ৩২ মেগাপিক্সেলের।
আরও পড়ুন: পুজোর বাজারে নতুন ফোন আনছে ওয়ান প্লাস
এ বার আসা যাক ফোনের প্রাণকেন্দ্রে। ভিভো অবশ্য কোয়ালকমের প্রসেসর ব্যবহার করছে না। এস-১ ফোনে থাকছে মিডিয়াটেক হেলিও পি৫৬ এসওসি প্রসেসর। সংস্থার দাবি, এই প্রথম এই প্রসেসর-যুক্ত ফোন ভারতের বাজারে এসেছে। ফোনের ক্ষেত্রে কোয়ালকমের প্রসেসর-এর ব্যবহার বেশি দেখা গেলেও মিডিয়াটেকেরও সুনাম রয়েছ। প্রসেসরের কথা বললে, র্যামের কথা বলতেই হয়। এই দুইয়ের উপর ফোনের কার্যক্ষমতা নির্ভর করে। এই ক্ষেত্রে চার জিবি আর ছয় জিবি র্যামের এস-১ ফোন পাওয়া যাবে। আর মেমোরি থাকছে ৬৪ জিবি ও ১২৮ জিবি। সব মিলিয়ে এস-১ ফোনটি তিনটি সংস্করণে পাওয়া যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: আবার ফিরে এসেছে ক্যামেরা কিনে ছবি তোলার ইচ্ছা
তবে এই ফোনের একটি খামতি হল, এতে আছে মাইক্রো ইউএসবি পোর্ট। যেখানে এই শ্রেণির অন্য ফোনে টাইপ-সি ইউএসবি পোর্ট রয়েছে। এর ব্যাটারি ৪৫০০ এমএএইচ-এর। ব্যাটারিটি অবশ্য এমনিতে খোলা যায় না। সঙ্গে থাকছে ফাস্ট চার্জার।