৪ডি ইয়ারফোন বা হেডসেট
সঙ্গীতের প্রতি আমাদের অন্তরের টান চিরদিনের। আর সেই সঙ্গীতের মধ্যে থাকা সুর-তাল-লয়ের মাদকতায় ভাসতে চাই আমরা সবাই। রসাস্বাদনের ক্ষেত্রে প্রতিটি বিন্দুকে উপভোগ করতেও চাই একেবারে শেষ পর্যন্ত। তাই সিঙ্গল ট্র্যাক থেকে মাল্টি ট্র্যাক এসেছে ধ্বনির প্রতিটি মাত্রাকে শ্রুতিমধুর করে তুলে, আমাদের কানের মধ্যে দিয়ে, আমাদের অন্তরের মাঝে পৌঁছে দিতে।
সময়ের সঙ্গে তাই নানা গবেষণা চলেছে এই ধ্বনি নিয়ে। এক সময়ে আমরা সঙ্গীতকে পেতাম ক্যাসেট, বা রেকর্ডে। একটু পরে এল ডিজিটাল মাধ্যম। আর আমাদের কানে এসে পৌঁছল একটি শ্রুতি মধুর ধ্বনি। বর্তমানে আমাদের হাতের মুঠোয় থাকা হেডফোন আমাদের সঙ্গীত শোনার চাহিদাকে মেটাচ্ছে। এই প্রসঙ্গে একটি কথা বলা যাক। এখন আমাদের কানে আর আসছে না অনেক অবাঞ্ছিত শব্দ, যেটা মূল ধ্বনিকে শুনতে বাধা দেয়। অনাহূত শব্দ আর আমাদের শোনাকে বিঘ্ন ঘটায় না।
গান শোনার ক্ষেত্রে একে একে পরিবর্তন এসেছে স্টিরিও, ডলবি, তারপর সারাউন্ড। প্রথম চার চ্যানেলের সারাউন্ড সাউন্ড পাই ১৯৭০ সালের ফিল্ম স্টার ওয়ারস ছবিতে। এরপর এল ডিজিটালের যুগ।
আরও পড়ুন: স্মার্ট ফোন আর ক্রোমকাস্টের যুগলবন্দিতে টেলিভিশনের নয়া দুনিয়া
সাম্প্রতিক গবেষণায় বেশ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে হেডফোনকে। বিশেষ করে ইয়ার ফোনকে। আরও ভাল ভাবে আমাদের শোনার ইচ্ছাকে পুরণ করেছেন গবেষকরা। শোনার ক্ষেত্রে তাঁরা এনেছেন ফোর-ডি প্রযুক্তি। যেখানে একেবারে শব্দের প্রতিটি ক্ষণ, দূরত্বকে পাবেন শ্রোতা। ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি যেমন আপনাকে কোনও একটি দৃশ্য দেখার সময় বাস্তব অভিজ্ঞতা দেয়, তেমনই শব্দের ক্ষেত্রেও দেবে। ফলে প্রত্যেকটি ধ্বনি আপনার কাছে পৌঁছে যাবে পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে। এই ফোর ডাইমেনশনাল কারিগরি আদতে ভি-আর কারিগরির অন্য রূপ। এগুলির সবই ব্লুটুথ প্রযুক্তিতে চলবে।
আরও পড়ুন: পুজোয় বিনা তারে গান শুনুন, ফোনও ধরুন
এ বার দেখে নেওয়া যাক, এই ফোর–ডি কারিগরির একটি হেডফোনের দাম কত হতে পারে। মাত্র ২৩০ টাকা থেকে ৬০০ টাকার মধ্যে। এখন বাজারে পি-ট্রন-এর ফোর ডি হেডফোন বেশ চলছে। কয়েকটি ব্র্যান্ডের কথা বলা যাক— ট্যাঞ্জেন্ট প্রো- দাম ৮৫০ টাকা, বুম-২ ফোর-ডি যার দাম ৫৫০ টাকা। এ ছাড়াও আরেকটি ব্র্যান্ড বেশ নাম করেছে, বাসহেডস ফোর-ডি – কেজে৬০০৭। এর দাম ৩০০ টাকার মধ্যে।
এগুলি সবই পাওয়া যাবে বিভিন্ন অনলাইন শপে।