প্রতীকী ছবি
পুজোর আমেজে সরগরম চার দিক। ঠাকুর দেখা থেকে ভুরিভোজ, সব কিছুরই অগ্রিম পরিকল্পনা সেরে রাখছেন সকলে। কিন্তু টানটান এই উত্তেজনার মাঝে নিরাপত্তার দিকটা মাথায় আছে তো? পুজোর ক'দিন যাতে কোনও অঘটনের ঠেলায় আনন্দে ভাটা না পড়ে, তার জন্য কিছু সাবধানতা অবলম্বন না করলেই নয়। কী সেই সাবধানতা? হদিস রইল এই প্রতিবেদনে।
১. কোভিড-বিধি: করোনাকাল কেটে গিয়েছে বলেই রোগটি যে একেবারেই নেই, এমনটা কিন্তু নয়। অসুস্থতা এড়াতে ভিড়ভাট্টায় এখনও দরকার মাস্ক এবং স্যানিটাইজারের নিয়মিত ব্যবহার।
২. জলপান: ভিড় ও গুমোট গরমে শরীর চাঙ্গা রাখতে বেরোনোর আগে থেকেই শরীরে জলের জোগান অব্যাহত রাখুন। পথেও সঙ্গে থাকুক জলের বোতল।
৩. খাওয়াদাওয়া: রসনাতৃপ্তির অছিলায় স্বাস্থ্যের দিকটা একেবারে ভুলে গেলে কিন্তু মুশকিল। পাঁচ দিন টানা হাঁটাহাঁটি ও বেনিয়মের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ফুর্তি করতে হলে শরীরকে দিতেই হবে নিয়মমাফিক পুষ্টিকর খাবার।
৪. আপৎকালীন ব্যবস্থা: আহ্লাদ করে নতুন জুতো পরে বেরোলেন, হঠাৎ দুই পায়ে ফোস্কা! কিংবা ধরুন ভিড়ের ধাক্কায় পড়ে গিয়ে চোট লাগল কোথাও। আনন্দ মাটি করে মাঝপথে বাড়ি না ফিরে যেতে চাইলে ব্যাগে রাখুন প্রাথমিক চিকিৎসার ন্যূনতম সরঞ্জাম।
প্রতীকী ছবি
৫. আর্থিক সুরক্ষা: পুজোর জনসমুদ্রে পকেটমারি হওয়া নিত্যদিনের খবর। এর হাত থেকে বাঁচতে ব্যাগ ও পকেট সামলে রাখুন। চেন লাগানো ব্যাগ ব্যবহার করলে চুরির সম্ভাবনা কম। সব টাকা পার্সে না রেখে মোবাইল কভারের মতো অচিরাচরিত জায়গায় ভাগ করে রাখুন। পরিচয়পত্রের মূল নথি বহন করবেন না। সঙ্গে রাখুন জেরক্স কপি।
৬. ফোনের চার্জ: পুজোর দিনে রাস্তাঘাটে বিপদে পড়লে মোবাইল ফোন আপনাকে অনেক ক্ষেত্রে উদ্ধার করতে পারে। ফোনের পর্দার উজ্জ্বলতা কমিয়ে, ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রেখে, আগেভাগে চার্জ দিয়ে ব্যাটারি সঞ্চয় করে রাখুন। সঙ্গে রাখতে পারেন পাওয়ার ব্যাঙ্কও।
৭. বিপদে শান্ত থাকুন: ভিড়ে রাস্তা হারালে বা সঙ্গীদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়লে ঘাবড়াবেন না। সাহায্য নিন জিপিএসের। প্রয়োজনে কলকাতা পুলিশের নিকটতম কেন্দ্রে যোগাযোগ করুন। সঙ্গে ছোটরা থাকলে একটি চিরকুটে পরিবারের সদস্যদের নাম, ঠিকানা ও ফোন নম্বর লিখে কাগজটি তাকে সব সময়ে সঙ্গে রাখতে বলুন। মনে রাখবেন, বুদ্ধি খাটিয়ে কাজ করলে অনেক বড় সমস্যারও সহজে সমাধান হয়ে যায়।
এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের একটি অংশ।