প্রতীকী ছবি
পুজোর ছুটিতে এদিক-ওদিক ঘুরতে যান অনেকেই। পশ্চিমি অনুপ্রেরণায় অনেক ভ্রমণপিপাসুই ঝুঁকছেন সড়কপথে ভ্রমণের দিকে। প্রথা ভেঙে যাত্রাপথই হয়ে উঠছে গন্তব্য।
এমন দীর্ঘ যাত্রায় স্বাস্থ্য ও সুরক্ষার দিকটি নিয়ে উদ্বেগের মাত্রা থাকে তুঙ্গে। তাই সব দিক ভেবেই সাজান পরিকল্পনা। পথেঘাটে শৌচাগার ব্যবহারের প্রয়োজন পড়লে ঠিক কী করণীয়? দেখে নিন এক ঝলকে।
১. মানচিত্র ব্যবহার: খুঁজে নিন কোন হাইওয়েতে রয়েছে সবথেকে বেশি শৌচাগার। সেই অনুযায়ী যাত্রাপথ নির্বাচন করুন। মোবাইল ফোন বা গাড়ির জিপিএস কাজে লাগিয়ে দরকার পড়লেই খুঁজে নিন নিকটতম শৌচাগার।
২. বিরতির স্থান নির্বাচন: যেখানেই জ্বালানি তেলের স্টেশন বা ধাবা দেখবেন, যাত্রা-বিরতি নিন। এই এলাকাগুলিতে সাধারণত বিশ্রামকক্ষ থাকে। জাতীয় সড়কে অধিকাংশ খাবারের দোকানে শৌচাগার থাকলেও রাজ্য বা আঞ্চলিক সড়কে এই সুবিধা নেই।
৩. পরিচ্ছন্নতা: স্বাস্থ্যসম্মত রক্ষণাবেক্ষণে গণশৌচালয়ের তেমন সুনাম নেই। তবুও চেষ্টা করবেন মুক্ত শৌচালয়ের বদলে সুলভ শৌচালয় ব্যবহার করার। টাকার বিনিময়ে ব্যবহার্য হওয়ায় এগুলির রক্ষণাবেক্ষণ তুলনামূলক যত্নের সঙ্গে করা হয়। স্বাস্থ্যের চিন্তা মাথায় রেখে প্রয়োজন মতো জল ও ফ্লাশ নির্দ্বিধায় ব্যবহার করুন।
৪. স্পর্শ এড়ানো: প্রয়োজন ছাড়া রাস্তার শৌচাগারের কিছুই স্পর্শ করার প্রয়োজন নেই। মনে রাখবেন, গণশৌচালয়ের প্রায় সমস্ত বস্তুই জীবাণুতে ভর্তি।
প্রতীকী ছবি
৫. স্যানিটাইজার: সঙ্গে রাখুন স্যানিটাইজার এবং স্যানিটাইজার স্প্রে। দরজা ও কলের হাতল থেকে শুরু করে টয়লেটে বসার জায়গা সর্বত্র স্প্রে করে নিন। ব্যবহার মিটলে হাত স্যানিটাইজ করতে ভুলবেন না কোনও ভাবেই।
৬. অন্যান্য সরঞ্জাম: সকলের ব্যবহার করা টয়লেট পেপার থেকে রোগ সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা প্রবল। কাজেই সঙ্গে রাখুন নিজের টয়লেট পেপার ও টিস্যু পেপার। সাবধানের মার নেই। তাই নির্দিষ্ট সময় না হয়ে থাকলেও মহিলাদের সঙ্গে থাকুক ঋতুচক্র সংক্রান্ত সামগ্রী।
৭. ফানেল: সম্প্রতি বিভিন্ন সংস্থা বাজারে এনেছে বিশেষ ধরণের ফানেল। এর উদ্দেশ্য, শরীর এবং টয়লেটের প্রত্যক্ষ সংযোগ ছাড়াই আপনাকে শৌচকর্ম সারতে সাহায্য করা। দীর্ঘ রোড ট্রিপে সুস্থ থাকতে এই অভিনব সরঞ্জামটি কিনে ফেলাই যায়।
৮. প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা: রাস্তায় কফি-জাতীয় পানীয় খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। পথের খাবারদাবারও হোক হালকা এবং নিয়ন্ত্রিত। তবে প্রয়োজন পড়লে শৌচাগার ব্যবহারে কুণ্ঠিত হবেন না। দীর্ঘ সময় শৌচাগার ব্যবহার না করলে তাতে হিতে বিপরীত হয় বলেই চিকিৎসকদের মত। অযথা নিজেকে অস্বস্তি ও অসুস্থতার দিকে না ঠেলে দিয়ে যথাসম্ভব সাবধান হয়েই শৌচাগারের সুবিধা নিন।
এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের একটি অংশ।