প্রতীকী ছবি
বিচ্ছেদের দশমী। “অদ্য শেষ রজনী’-র রেশে নবমী নিশি পেরিয়ে আসে মায়ের বিসর্জনের পালা। আবেগ, চোখের জলে উমাকে বিদায় জানায় বাঙালি। তার আগে শেষ বারের মতো আনন্দ-হুল্লোড়ে মেতে ওঠার পালা। তাতেই কিন্তু থেকে যায় নানা রকম বিপদের আশঙ্কা। উৎসবের আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে অসাবধানতার জেরে দুর্ঘটনা কিংবা অন্য সমস্যায় পড়েন অনেকেই।
জেনে নিন এ রকম বিপদ থেকে সুরক্ষিত থাকতে কী কী করবেন?
বেশি ভিড়ে যাবেন না-
অনেক সময়ে প্রতিমা বিসর্জন দিতে গিয়ে অতিরিক্ত ভিড় জমে যায়। নদী বা পুকুরের ধারে এই ধরনের জমায়েত প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে। কোনও ভাবে পা পিছলে পড়ে গেলে এবং সাঁতার জানা না থাকলে নিমেষেই ঘটে যেতে পারে দুর্ঘটনা। পুজো উদ্যোক্তাদের এমন ভাবেই আয়োজন করতে হবে, যাতে মানুষ ভিড় না জমিয়ে সুষ্ঠু ভাবে বিসর্জন দেখতে পারেন।
নিজের ও পরিবারের খেয়াল রাখুন-
ভাসানের হুল্লোড়ে অনেকেই খেয়াল করেন না নিজেরা কিংবা পরিবারের কেউ, বিশেষত ছোটরা পুকুর বা নদীর ধারে চলে গিয়েছে কি না। এ রকম পরিস্থিতিতে জলে পড়ে গিয়ে বড়সড় বিপদের আশঙ্কা থাকে।
হাতে থাকুক হেল্পলাইন নম্বর-
সাবধান হওয়ার পরেও যদি কোনও সমস্যা তৈরি হয়, তার জন্য আগাম প্রস্তুতি থাক। ফোনে রাখুন প্রয়োজনীয় সরকারি হেল্পলাইন নম্বর। সঙ্গে সঙ্গে সাহায্য নিন প্রশাসনের।
এই প্রতিবেদনটি আনন্দ উৎসব ফিচারের একটি অংশ।