প্রতীকী ছবি।
সারা বছর ধরে বাড়িতে বসে থেকে ক্লান্ত হয়ে উঠেছে মন। অতিমারির আশঙ্কা কিছুটা কমার সঙ্গে সঙ্গে উৎসবের মরসুমে সকলের মনেই ছুটির আমেজ। দুর্গাপুজো, লক্ষ্মীপুজো কাটিয়ে এখন জোরকদমে এগিয়ে আসছে দীপাবলি। উৎসবের রাতে একের পর এক রঙিন আলোর ঝলকানিতে আকাশকে সাজিয়ে তোলার জন্য উদগ্রীব হয়ে বসে আছে সবাই।
কিন্তু এ বারের দীপাবলির আনন্দেও পড়তে পারে তৃতীয় ঢেউয়ের কোপ। সংক্রমণের আশঙ্কা কিছুটা কমলেও, এখনও থেকে গিয়েছে। এ ছাড়া দীপাবলির সঙ্গে আনুষঙ্গিক হিসাবে চলে আসে দূষণের চিন্তা। বেশ কিছু বড় শহরে দীপাবলি পরবর্তী দিনগুলিতে বায়ু দূষণের মাত্রা অনেকটাই বেশি হয়ে যায়। তার জেরে বেড়ে যায় অসুস্থতার প্রবণতা।
প্রতীকী ছবি।
উৎসবের আনন্দে মেতে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে কিছু বিশেষ ব্যাপারে নিরাপত্তা বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি—
দূরত্ব বজায় রাখুন
দুর্গাপুজোর দিনগুলি আনন্দে কাটলেও, তার পরেই আবার বাড়তে শুরু করেছে অতিমারির প্রকোপ। তাই তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা কোনও ভাবেই ভোলা যাবে না। একে অপরের থেকে অন্তত ১ মিটারের দূরত্ব বজায় রাখুন, যাতে সংক্রমণের আশঙ্কা যথা সম্ভব কম থাকে।
স্যানিটাইজার ব্যবহার করেই আগুনের কাছে যাবেন না
অতিমারির কারণে সকলেরই স্যানিটাইজার ব্যবহারের অভ্যাস বেড়েছে। স্যানিটাইজারে অ্যালকোহল থাকায় হাতে মাখার পরে আগুনের কাছাকাছি যাবেন না। অ্যালকোহলে যেহেতু খুব তাড়াতাড়ি আগুন ধরে যেতে পারে, সেই কারণে মোমবাতি জ্বালানো বা বাজি পোড়ানোর আগে স্যানিটাইজার ব্যবহার করা অত্যন্ত বিপজ্জনক হতে পারে।
সব সময়ে মাস্ক পরে থাকুন
শারীরিক দূরত্ব ছাড়াও সব সময়ে মাস্ক পরে থাকা অত্যন্ত জরুরি। শুধুমাত্র অতিমারির আশঙ্কার জন্য নয়, বাজির ধোঁয়া থেকে নিজেকে যতটা সম্ভব আড়াল করার জন্যও মাস্ক খুব কার্যকর। বাজির ধোঁয়া থেকে বহু মানুষের শ্বাসকষ্ট বা আরও গুরুতর সমস্যা হতে পারে। সেই আশঙ্কা কমানোর জন্য মাস্ক ব্যবহার করা প্রয়োজন।
দীপাবলির আগেই কোভিডের টিকা নিয়ে নিন
দীপাবলিতে সকলের সঙ্গে উৎসবে মেতে ওঠার আগে কোভিডের দু’টি টিকা নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উৎসবের দিন সবাই মেতে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে অতিমারির সংক্রমণের আশঙ্কাও বেড়ে যায়। নিজেকে এবং নিজের পরিবারকে যতটা সম্ভব নিরাপদ রাখার জন্য দু’টি টিকা নিয়ে রাখা প্রয়োজন।
বাজি থেকে দূষণের বিষয়ে সচেতন থাকুন
বাজি থেকে যেই ধোঁয়ার সৃষ্টি হয়, তা অতিমারির সময়ে খুবই বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বাজির ধোঁয়া থেকে ফুসফুসের গুরুতর সমস্যা হয়ে থাকে, বিশেষ করে বয়স্কদের জন্য। এ ছাড়াও দীপাবলির পরের কয়েক দিন শ্বাসকষ্টের সমস্যা লেগেই থাকে। মানুষ ছাড়াও, কুকুর বেড়াল-সহ অনেক প্রাণীর জন্যেও বাজির শব্দ প্রবল মাত্রায় ভয়ের সৃষ্টি করে। তাই বাজি ফাটানোর সময়ে বায়ুদূষণ ছাড়াও শব্দদূষণের দিকেও নজর রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।