এই পুজো শুরু হয় ১৯৪৭ সাল থেকে। সাবেকি পুজো। এই পুজো ঘিরে এলাকার মানুষের উন্মাদনা থাকে চোখে পড়ার মতো। খিদিরপুর বিজয়ী সংঘের পুজো যেহেতু ভারতের স্বাধীনতার বছর শুরু হয়েছিল সে কারণে এই পুজো ঘিরে এক ঐতিহাসিক ভাবনা এবং ঐতিহ্য কাজ করে। সাবেকি মূর্তি। পুজো চার দিন চলে মার্তৃ আরাধনা।
এই পুজোর দীর্ঘ দিনের সদস্য ত্রিদিশা ভট্টাচার্যের কথায়, ‘‘আমাদের পুজো শুভ সূচনা হয় জয় কৃষ্ণ পাল রোড থেকে। সে সময় এলাকার এক বাসিন্দা মায়ের পুজো শুরু করেন। তার পর থেকে আমাদের এই বারোয়ারি পুজো আজও সমান মেজাজে এগিয়ে চলেছে। আমরা এই পুরনো পুজোকে আগামী দিনে বড় করার ব্যাপারে আগ্রহী। সেই চেষ্টা করে চলেছি।’’
এই পুজোর সঙ্গে জড়িত এক সদস্যের কথায়, ‘‘খিদিরপুর বিজয়ী সংঘের পুজো সাবেকি ঐতিহ্যের পুজো। আমরা থিমের ভিড়ে নিজেদের হারিয়ে ফেলিনি। পুজোর কটাদিন সবাই আনন্দ করি। নতুন পোশাক পরিহিত ভক্তরা প্যান্ডেল পরিদর্শন করেন। সবাই প্রার্থনা করেন এবং দেবীর কাছ থেকে আশীর্বাদ প্রার্থনা করেন। দশমীর সিঁদুর খেলা আমাদের এই পুজোর অন্যতম একটি অনুষ্ঠান যার মধ্য দিয়ে পুজোর সমাপ্তি ঘটে। বিবাহিত মহিলারা দেবী এবং একে অপরকে সিঁদুর দেন। এর মানে, মন্দের উপর ভালর জয়ের ইঙ্গিত। বিদায়ের অশ্রু নিয়ে, সুন্দর সুশোভিত মূর্তিটি পরের বছর তার ফিরে আসার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নদীতে বিসর্জন দেওয়া হয়।"
কী ভাবে যাবেন- ১২/এ জয়কৃষ্ণ পাল রোড খিদিরপুর কলকাতা-২৩ পৌঁছতে হলে সোজা খিদিরপুর থেকে ওয়াটগঞ্জের রাস্তা ধরে চলুন। তারপর রিসার্ভ ফোর্সের পুলিশ কোয়ার্টার থেকে সামনেই খিদিরপুর বিজয়ী সংঘের পুজো মন্ডপ।
প্রতিমা শিল্পী- শঙ্কর পাল, দেবব্রত পাল
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।