চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো আজ বিশ্ব দরবারে পৌঁছে গিয়েছে। শুধু হুগলি জেলা থেকে নয়, আশেপাশের বিভিন্ন জেলা থেকেও মানুষ ভিড় করেন এই পুজো দেখার জন্য।
চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর বিশেষত্ব হল, এখানে বেশির ভাগ প্রতিমার উচ্চতা ২৫ থেকে ২৮ ফুট। যা সেগুলিকে এক অন্য মাত্রায় নিয়ে যায়।
এই উচ্চতা প্রসঙ্গে স্থানীয় মানুষদের ভিন্ন ভিন্ন মত রয়েছে। কেউ বলেন লোকে ছোট থেকেই যেহেতু বড় প্রতিমা দেখে এসেছে, তাই সেই উচ্চতার প্রতিমাই গড়া হয় প্রতি বছর।
আবার কেউ বলেন, যেহেতু দেবী গোটা জগৎকে ধারণ করেন, তাই প্রতিমার আকার এত বড় করা হয়।
নেপথ্যে যাই কারণ থাকুক না কেন, সুউচ্চ প্রতিমাগুলি দেখতে মানুষের উন্মাদনা থাকে চরমে। পুজোর চার দিন ভিড় ঠেলে প্রতিমা দর্শন করা দায় হয়ে ওঠে। এখানে রইল চন্দননগরের এমনই কয়েকটি সুউচ্চ প্রতিমার হদিশ।
বাগবাজার সর্বজনীন: চন্দননগরের পুরনো পুজোগুলির মধ্যে বাগবাজার সর্বজনীন অন্যতম। এ বছর এই পুজো ১৯০ বছরে পদার্পণ করল। সুউচ্চ প্রতিমার সঙ্গে এখানকার ঐতিহ্যও মুগ্ধ করে সকলকে।
বেশোহাটা সার্বজনীন: এ বছর এই ক্লাবের পুজোর ৭৫ বছর। বড় প্রতিমা পুজো করার জন্য সুপরিচিত এই পুজো। ক্লাবের সদস্যের দাবি এই বছর শুধু প্রতিমার উচ্চতা ২১ ফুট, আর সাজসজ্জা সহ সেই প্রতিমার উচ্চতা গিয়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩৩ ফুটের কাছাকাছি।
ফটকগোড়া সর্বজনীন: ৭২ বছর ধরে এই পুজো চন্দননগরের অন্যতম পুজো কমিটি। এখানে এই বছর শুধু মূর্তির উচ্চতা ১৯.৬ ফুট আর সাজসজ্জা সহ প্রতিমার উচ্চতা প্রায় ৩১ ফুটের কাছাকাছি।
লালবাগান সর্বজনীন: ৭০ বছর ধরে লালবাগান সর্বজনীন ঐতিহ্য ধরে রেখেছে তাদের জগদ্ধাত্রী পুজোর মাধ্যমে। এখানেও রীতিমতো নজরকাড়া উচ্চতার প্রতিমা। পুজো কমিটির সদস্য জানান এই বছর এখানে শুধুমাত্র মাটির প্রতিমার উচ্চতা ২৫.৯ ফুট এবং সাজসজ্জা সহ প্রায় ৪৩ ফুটের কাছাকাছি।
তেমাথা সর্বজনীন: প্রত্যেক বছর এই ক্লাবকে নিয়ে চন্দননগরের মানুষের মধ্যে এক আলাদা উন্মাদনা থাকে। পুজো কমিটির সদস্যের দাবি, এখানে এই বছর শুধুমাত্র মাটির প্রতিমার উচ্চতা ২৬.১০ ফুট আর সাজসজ্জা সহ প্রতিমার উচ্চতা প্রায় ৩৯.১০ ফুটের কাছাকাছি। এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।