হাওড়ার পুজোগুলির মধ্যে পাগলা ফৌজের পুজো অন্যতম। অনন্য ভাবনা এবং সুন্দর উপস্থাপনার জন্য হাওড়ারবাসীর মনে তো বটেই, জায়গা করে নিয়েছে কলকাতাবাসীর মনেও। এই বছর পুজোর বয়স হল ৪২ তম বছর। পুজোর শুরু সেই ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সময়ে, ১৯৪২ সালে।
এখন বাকি পুজোগুলির মতোই থিম পুজো হয় এখানেও। এই বছরের থিম ‘মায়ের সঙ্গে’। কেবল মা দুর্গা নয়, রয়েছে অন্য মায়েদের গল্প। বৃদ্ধাশ্রমে থাকা বৃদ্ধা থেকে, অ্যাসিড আক্রান্ত তরুণী। পতিতা পল্লীর মেয়েটি, যাদের হাতের মাটি ছাড়া পুজোই হবে না। অথবা যে দেবী বাড়ি থেকে দূরে সীমান্তে থেকে রক্ষা করছেন আমাদের, তাঁদের কথাই বলবে এই পুজো। নানা মডেল এবং ছবির মাধ্যমে সেজে উঠবে মণ্ডপ।
পুজোর সম্পাদক সৌমেন রায়ের কথায়, ‘‘এই রকম ভাবনা আগে কেউ ভেবেছে বলে আমার জানা নেই। শুধু মণ্ডপ সজ্জায় নয়, চমক রয়েছে মাতৃ মূর্তিতে। সাবেকি মুর্তিতেও রয়েছে আধুনিকতার ছোঁয়া। তবে বাকি কথা মানুষ বলবেন।’’
থিম : মায়ের সঙ্গে
থিম ও প্রতিমা শিল্পী : অসীম পাঁজা
কী ভাবে যাবেন : দ্বিতীয় হুগলি সেতু দিয়ে এসে কদমতলা পাওয়ার হাউসের পাশ দিয়ে পঞ্চানন তলা রোডে ঢুকতে হবে। মিনিট পাঁচেক এগোলেই বাঁ হাতে দেশপ্রাণ শাসমল রোডের উপর রয়েছে অঞ্জলি জুয়েলার্সের দোকান। তার পাশের গলিতেই ঢুকলেই দেখতে পাওয়া যাবে পুজো মণ্ডপ।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।