শহরের প্রায় সব পুজো যখন থিম আর সাবেকিয়ানার দলে দু’ভাগে বিভক্ত, হরি ঘোষ স্ট্রিট সর্বজনীন তখন এবছর মধ্যপন্থা অবলম্বন-ই শ্রেয় বলে মনে করেছে। উত্তর কলকাতার প্রাচীন এই পুজোর এবারের মূল ভাবনা, ‘‘থিম ও সাবেকিয়ানার মেলবন্ধন।’’
ব্রিটিশ ভারতের বহু ঘটনার মধ্য দিয়ে এই পুজো প্রবাহিত হয়ে এসেছে। ১৯৩৯ সালের নভেম্বরে এক অস্থির রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে এই পুজো চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরের বছর ১৯৪০ সাল থেকে স্বর্গীয় শ্রী লক্ষ্মীকান্ত মল্লিকের তত্ত্বাবধানে ও সভাপতিত্বে এই পুজোর প্রচলন শুরু হয়। পরবর্তীকালে এই পুজোর কিছু সদস্য ভারত ছাড়ো আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন।
বহু ইতিহাসের সাক্ষী ৮৪ বছরের এই পুজোর বিশেষত্ব হল, মহানবমীর দিন মা-কে ৫৬ ভোগ নিবেদন। পুজোর সম্পাদক সুরজিৎ সেন বলেন, ‘‘থিমের সাথে সাবেক প্রথা জুড়ে পুজো করার পাশাপাশি এ বছর আলোকসজ্জায় চমক থাকছে। আলোর মাধ্যমে পুজো প্রাঙ্গণে এক মায়াময় পরিবেশ গড়ে তোলা হবে।’’
প্রতিমা শিল্পী :মিন্টু পাল
পথ নির্দেশ :শোভাবাজার ও গিরিশ পার্ক মেট্রো স্টেশনের মধ্যবর্তী এলাকায় বিডন স্ট্রিট সংলগ্ন বেথুন কলেজের পাশে।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।