৯০ দশকের সময়ে যাঁরা বড় হয়ে উঠেছেন, তাঁদের প্রত্যেকের কাছে সেই দিনগুলির প্রায় প্রতিটি জিনিস প্রিয়। বন্ধুরা মিলে মাঠে দাপিয়ে ফুটবল খেলা হোক, রেডিয়োতে গানের শব্দ হোক, টেলিফোনের বুথ হোক, আরও কত কী! নাম বললে শেষ হবে না। ঠিক এই বিষয়গুলি নিজেদের পুজো তুলে ধরছে ৫০ ওয়ার্ড দুর্গাপুজো কমিটি।
১৯৩৪ সালে পুজো শুরু করে এই কমিটি। এই বছর তাদের ৯০তম বর্ষ। শুরুর দিন থেকে কিছু বছর আগে পর্যন্ত এই কমিটি সাবেকিভাবেই নিজেদের পুজো করত। গত তিন বছর ধরে তারা থিমের পুজোয়।
এ বারে থিমের মাধ্যমে পুরনো দিনের কথা তুলে আনছে তারা। থিমের নাম দিয়েছে ‘নস্টালজিয়া ৯০’। পুজো মণ্ডপ তৈরি করার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছে ক্যাসেট, লম্ফ, হ্যারিকেন, পুরনো দিনের খেলনা, পোস্ট কার্ড ইত্যাদি। যে খেলাগুলি এখন আর খেলা হয় না, তা হাতের আঁকায় তুলে ধরা হয়েছে মণ্ডপে।
প্রতিমার ক্ষেত্রেও প্রাচীন ঐতিহ্য। পুজো কমিটির কালচারাল সম্পাদক জওহর রঞ্জন দাস বলেন, ‘‘আমাদের পুজো বরাবর সাবেকিভাবেই হয়ে আসছিল। তিন বছর হল থিম করছি। এ বছর ৯০ দশকের ঘরনার বিষয়বস্তু তুলে ধরছি।’’
থিম শিল্পী: তানিয়া ভট্টাচার্য
প্রতিমা শিল্পী: সনাতন রুদ্র পাল
যাবেন কী করে: শিয়ালদহ স্টেশন থেকে বেরিয়ে মৌলালি মোড়ের দিকে গিয়ে ক্রিক রো ধরে সোজা এগিয়ে গিয়ে মেট্রোপলিটন ইন্সটিটিউশন স্কুলের পাশেই এই মণ্ডপ
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।