১৯১৮ সালে যে পথ চলা শুরু হয়েছিল এ বছর তার ১০৬ তম বর্ষ। ৯৭ বছর ধরে সাবেকি পুজো করার পর ২০১৪ সাল থেকে থিম পুজোয় পদার্পণ করে সরকার বাগান সম্মিলিত সঙ্ঘ। পুজোর প্রধান বৈশিষ্ট্য থিম হলেও মায়ের পুজোর রীতি নীতি সব আগের মতই রয়েছে এই পুজোর। প্রতি দিন বিশেষ ভোগের ব্যবস্থা থাকে।
এই বছরের থিম ‘তপস্বিনী’। তপস্বিনী বললেই প্রথমে মাথায় আসে ধ্যানরতা কোনও সন্ন্যাসিনী। কিন্তু কেন তিনি ধ্যানরতা, কী জন্য তাঁদের এই তপস্যা তা খুঁটিয়ে দেখতেই এই পুজো। তপস্যা নামের মানে অনেক গভীর। আর এই তপস্যার মানে খোঁজাই এই বছরের সরকার বাগান সম্মিলিত সঙ্ঘের ১০৬তম বর্ষের মূল উদ্দেশ্য।
নিজেকে শান্ত রেখে ধীরে ধীরে পঞ্চভূতকে নিজের করায়ত করা আয়ত্ত করতে হবে। তবেই হবে প্রকৃত মুক্তি। মাতৃ প্রতিমাও তাই এখানে ধ্যানরতা স্নিগ্ধ রূপে বিরাজমান। যেন তিনিই প্রত্যেককে বুঝিয়ে দিচ্ছেন, সাধনাই পারে মানুষকে সঠিক পথ দেখাতে। যে এই সাধনায় সফল হবে তিনিই হয়ে উঠবেন প্রকৃত তপস্বিনী।
ক্লাবের সহ সম্পাদক দেবজ্যোতি দে জানিয়েছেন, ‘‘যে কোনও কাজের ক্ষেত্রেই আমরা যদি তপস্যা করি, আমরা সফল হতে পারি। আমাদের মা দুর্গাকেও সে ভাবেই দেখানো হয়েছে। মা এখানে ধ্যান মগ্না। এটিই আমাদের মূল ভাবনা।’’
থিম : তপস্বিনী
থিম শিল্পী : উত্তম মাইতি
প্রতিমা শিল্পী : সনাতন পাল
কী ভাবে যাবেন : আর জি কর বাস স্টপে নেমে নীলমণি মিত্র রো ধরে মিনিট তিনেক হাঁটলেই পৌঁছে যাবেন এই পুজা মণ্ডপে।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।