Durgapuja in Dumdum Park

নদীর ‘মুক্তধারা’র প্রয়োজনীয়তা কতটা, তার গল্পই শোনাচ্ছে দমদম পার্ক তরুণ সংঘ

কোথাও পাহাড় কেটে বানানো হচ্ছে বাড়ি, কোথাওবা মানুষের সুবিধার্থে কৃত্রিম উপায়ে রোধ করা হচ্ছে নদীর মুক্ত জলধারাকে, যার ফলস্বরূপ চারিদিকে সৃষ্টি হচ্ছে বন্যা পরিস্থিতির।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০২৪ ১৯:১৮
Share:

দমদম পার্ক তরুণ সংঘের প্রতিমা

“ওগো নদী, চলার বেগে পাগল-পারা/পথে পথে বাহির হয়ে আপন-হারা।”

Advertisement

উত্তরাখন্ড থেকে তিস্তার বন্যা, চারিদিকে মানুষের হাহাকার শুনতে শুনতে বোঝা যায় রবীন্দ্রসংগীতের এই লাইনগুলোর প্রকৃত অর্থ।

কোথাও পাহাড় কেটে বানানো হচ্ছে বাড়ি, কোথাওবা মানুষের সুবিধার্থে কৃত্রিম উপায়ে রোধ করা হচ্ছে নদীর মুক্ত জলধারাকে, যার ফলস্বরূপ চারিদিকে সৃষ্টি হচ্ছে বন্যা পরিস্থিতির।

Advertisement

প্রায় ১০২ বছর আগে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন ‘মুক্তধারা’ নাটকটি। তখনকার সময়ে দাঁড়িয়ে তিনি এই নাটকে দেখিয়েছিলেন নদীকে যেখানে সেখানে বেঁধে দেওয়ার কুফল, যা আজ বর্তমান পরিস্থিতিতে ভীষণভাবে প্রাসঙ্গিক।

এই সামাজিক চেতনার ভাবনা নিয়েই ৩৯তম বর্ষে দমদম পার্ক তরুণ সংঘের ভাবনা ‘মুক্তধারা’। শিল্পী অনির্বাণ দাস এই থিমের মাধ্যমে দেখিছেন নদীকে নিজের পথে মুক্ত ভাবে বইতে না দিলে তার ফলস্বরূপ কি ক্ষতি হতে পারে।

পাহাড় এবং জনবসতি

মণ্ডপ জুড়ে আছে পাহাড়, জনবসতি এবং পাহাড়ের গা বেয়ে পড়ছে নদীর ‘মুক্তধারা’। দমদম তরুণ সংঘের এই থিম মানুষকে ভাবায় যে এবার সময় হয়েছে প্রকৃতিকে প্রকৃতির মতন করে ছেড়ে দেওয়ার। যত মানুষ তার স্বার্থের জন্য প্রকৃতির নিয়মের বিরুদ্ধে যাবে তত তার রোষ মানুষকেই ভুগতে হবে।

এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement