স্বাধীনতার পরের বছরে শুরু হয়েছিল পুজোর। সালটা ছিল ১৯৪৮। দেখতে দেখতে সেই ছোট পুজোটির বয়স আজ ৭৫ বছর। একই ধারা এবং ঐতিহ্য বাহক এই পুজো। চার পাশে এখন থিম পুজোর ছড়াছড়ি। আশেপাশে ৫০ মিটারের মধ্যেই রয়েছে হাতিবাগানের নাম করা, পুরস্কার বিজয়ী সব পুজো। কিন্তু তাঁর মধ্যে থেকেও প্রাচীন ধারা অক্ষুণ্ণ রেখে মাতৃ আরাধনা করে চলেছে। এই পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে আছে রাজনৈতিক নেতা স্বর্গীয় অজিত কুমার পাঁজা, নাট্যব্যক্তিত্ব সুনীত দাসের মতো নাম।
এই বছর দেখতে পুজোর বয়স ৭৫। ৭৫ বছরে মণ্ডপ সেজে উঠছে পার্বতী এবং শিবের সাজে। সঙ্গে রয়েছে পাপ বিনাশকারি ত্রিশূল। মায়ের সাবেকি রূপে কৃষ্ণনগরের সাজ। চমক থাকবে বিসর্জনে। বিশাল শোভাযাত্রায় থাকছে রন-পা, আদিবাসী মহিলাদের নাচ থেকে ৫১টি ঢাক।
তবে পুজোর সহকারী সম্পাদক অরিন্দম শীলের অবশ্য জানিয়েছেন, ‘‘আমরা পরের বছর থেকে পাকাপাকি ভাবে থিম পুজো শুরু করব। তাই তার আগে পুজোর ৭৫ বছরে আমরা খুব ভাল ভাবে সাবেকি কায়দায় মায়ের আরধনা করছি। এটাই আমাদের সাবেকি পুজোর শেষ বছর। পুজোর দিনে পাড়ার সবাই মিলে এক সঙ্গে খাওয়া দাওয়া করব।“
কী ভাবে যাবেন: খান্না মোড় থেকে গ্রে স্ট্রিটে ঢুকে ২০০ মিটার এগোলেই বাঁ হাতে একটি নামী সংস্থার শপিং মলের পাশেই মন মোহন বোস স্ট্রিট। সেখানেই দেখতে পাবেন পুজা মণ্ডপ।
প্রতিমা শিল্পী: তপন কুমার পাল
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।