Kolkata's Oldest Meat Shops

মাংস বেচতে দেবীই ভরসা, দোকানিদের ত্রাতা হলেন কশাই কালী

অষ্টাদশ শতাব্দীর বাংলায়, দেবতার কাছে উৎসর্গ করা প্রাণী না হলে হিন্দুরা সেই মাংস গ্রহণ করত না। সেই মাংসকে বলা হত ‘বৃথা মাংস’।

Advertisement
আনন্দ উৎসব ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০২৪ ১৫:২৮
Share:
০১ ১৬

বাঙালি বাড়িতে রবিবারের দুপুর মানেই সরু চালের গরম ভাত এবং পাঁঠার মাংস।

০২ ১৬

কষা রেওয়াজি খাসি হোক কিংবা কচি পাঁঠার ঝোল, মটন না হলে যেন রবিবারটা অসম্পূর্ণ থেকে যায়।

Advertisement
০৩ ১৬

কিন্তু চড়া দামের কারণে এবং এখন বেশিরভাগেরই কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ায় পাঁঠার মাংস বাড়িতে কমই ঢোকে।

০৪ ১৬

একটু মটন হলেই যেন এখন বাঙালির কাছে স্বর্গ। তা সে এক কোপে কাটা হোক কি আড়াই পোচে।

০৫ ১৬

কিন্তু আজ থেকে বহু বছর আগে ব্যাপারটা এ রকম ছিল না। যখন-তখন মাংস খাওয়া যেত না।

০৬ ১৬

অষ্টাদশ শতাব্দীর বাংলায়, দেবতার কাছে উৎসর্গ করা প্রাণী না হলে হিন্দুরা সেই মাংস গ্রহণ করত না।

০৭ ১৬

সেই মাংসকে বলা হত ‘বৃথা মাংস’। কিন্তু ভোজনরসিক বাঙালির পাঁঠার মাংস খাওয়ার চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দু’টি সমস্যা দেখা দিল।

০৮ ১৬

প্রত্যেকের প্রয়োজন মতো মাংস জোগাড় করার সমস্যা এবং ঘন ঘন বলি দেওয়ার জন্য লোকবলের অভাব ও আর্থিক অনটন।

০৯ ১৬

তাই সেই সমস্যা সমাধানের জন্য, বলতে গেলে রাতারাতি গজিয়ে উঠল কিছু কালীমন্দির লাগোয়া মাংসের দোকান।

১০ ১৬

কালী মূর্তিকে সাক্ষী রেখেই বিক্রি হতে লাগল প্রসাদী মাংস। কখনও মাংসের দোকানেই মূর্তি প্রতিষ্ঠা করে দেবীর পুজো হত।

১১ ১৬

এই কালীকে বলা হত কসাই কালী অথবা কসাইদের কালী।

১২ ১৬

বৌবাজার, চিৎপুর এলাকায় এখনও এই কসাই কালীর দেখা মেলে। একবার ঘুরে আসতেই পারেন সেইসব দোকানগুলি থেকে।

১৩ ১৬

বাঙালির পাঁঠার মাংসের দোকান। ঠিকানা: ১৬/১৭, কলেজ স্ট্রিট, বউবাজার।

১৪ ১৬

জয় মা কালী মীট শপ। ঠিকানা: ১৬, কলেজ স্ট্রিট, বউবাজার।

১৫ ১৬

গোপাল পাঁঠার মীট শপ। ঠিকানা: গাঁজা পার্ক, ভবানীপুর।

১৬ ১৬

বকুলতলা হিন্দু মীট শপ। ঠিকানা: ৮৫/এ, বীরেন রায় রোড (পশ্চিম), বকুলতলা। এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement