শান্তিনিকেতন গিয়ে কঙ্কালীতলার দর্শন করেননি এমন মানুষ খুব কমই আছেন। বোলপুর স্টেশন থেকে প্রায় ৭-৮ কিমি দূরে কোপাই নদীর তীরে অবস্থিত এই মন্দির।
একান্নপীঠের শেষ পীঠ হিসেবে খ্যাত এই কঙ্কালীতলা। কথিত, এখানে দেবী সতীর কাঁখাল বা কোমর পড়েছিল।
এ ছাড়াও, কঙ্কালীতলায় দেবী ‘দেবগর্ভ’ হিসেবেও পূজিত হন। দেবীর কোনও বিগ্রহ এখানে নেই। মা কঙ্কালীর ছবিই এখানে পুজো করা হয়।
তবে এখানকার প্রধান আকর্ষণ মন্দিরের পাশে পাড় বাঁধানো ছোট পুকুর, যা সতীকুন্ড নামে পরিচিত।
পুরাণ মতে, সতীর অস্থি এখানে এসে পড়ার ফলে একটি কুণ্ডের সৃষ্টি হয়।
বলা হয়, এই কুণ্ডের ঈশান কোণে দেবীর কাঁখাল নিমজ্জিত অবস্থায় রয়েছে, তাই এই কুণ্ডকে পবিত্র মনে করা হয়।
জনশ্রুতি রয়েছে, এই কুণ্ডের সঙ্গে তিনটি সুড়ঙ্গ পথে কাশীর মণিকর্ণিকা ঘাটের সঙ্গে যুক্ত কঙ্কালীতলার পবিত্র কুণ্ড।
তাই এই কুণ্ডের জল কখনও শুকায়ে না। তবে অদ্ভুতভাবে প্রতি ১৯-২০ বছর বাদে শুকিয়ে যায় এই কুণ্ডের জল।
ঠিক সেই সময় কোনও অজ্ঞাত কারণে বন্ধ হয়ে যায় মণিকর্ণিকা ঘাটও। কিন্তু পুজোর পর রাতারাতি কুণ্ডের জল আবার ভরে যায়।
আজও কঙ্কালীতলা তন্ত্রসাধনার পীঠস্থান হিসেবে পরিচিত। কালীপুজোর সময় বহু মানুষ দূর-দূরান্ত থেকে ভিড় জমান এই স্থানে। এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।