১৯৭০ সালে শুরু এই পুজোর। এ বছর তাঁদের ৫৪তম বর্ষে। থিম পুজোর রমরমার মধ্যেও ৫৪ বছর ধরে সাবেকি প্রাচীন রীতিতে মাতৃ আরাধনা করে আসছে নবরাগের পুজো। যদিও ২০০০ সালের প্রথম থিম পুজোর সূচনা এই পুজোর হাত ধরেই। কিন্তু অচিরেই আবার ফিরে আসেন সাবেকি ধারাতে।
সাধারণ পুজো নয় বারোয়ারি পুজো হলেও রয়েছে বিশেষ কিছু নিয়ম নীতি। নৈবেদ্য সাজিয়ে ন’টি ঘটের স্থাপন করে হয় মায়ের আরাধনা। ভোগের ব্যবস্থা থাকে পাড়ার লোক থেকে বাইরে দর্শনার্থী সবার জন্য। সপ্তমীতে প্রায় ৮০০ লোকের ভোগের আয়োজন থাকে। নবমীতে পাড়ার বাইরেও দর্শনার্থীদের জন্য থাকে ভোগের ব্যবস্থা।
ক্লাবের সদস্য সোমনাথ খানের কথায়, ‘‘এখন প্রায় সব পুজোই রাজনৈতিক নেতাদের কেন্দ্র করে। তাঁর মধ্যে দাঁড়িয়েও কোনও রকম রাজনৈতিক নেতার সাহায্য ছাড়াই আমরা আমাদের এই পুজো আজও করে যাচ্ছি।’’
কী ভাবে যাবেন: খিদিরপুর ফ্যান্সি মার্কেট থেকে বাবু বাজারের দিকে এগোতে হবে। বাবু বাজার থেকে ডানদিকে হেম চন্দ্র স্ট্রিটে ঢুকে প্রথমটি ছেড়ে দ্বিতীয় পুজোটি হল নবরাগের পুজো।
প্রতিমা শিল্পী: কালাচাঁদ রুদ্র পাল
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।