পশ্চিমবঙ্গের আনাচে কানাচে নানা জায়গায় রয়েছে কত জাগ্রত মন্দির আর পীঠস্থান। তাদের ঘিরে মানুষের নানা বিশ্বাস আর গল্পকথারও শেষ নেই। নৈহাটির শতবর্ষ পেরনো বিখ্যাত কালী পুজোর জনপ্রিয়তা যেমন তুঙ্গে থাকে সর্বদা।
নৈহাটির বড়মা কালীপুজো সম্প্রতি হইচই ফেলেছে নেটপাড়ায়। প্রায় ২২ ফুটের এই প্রতিমার দর্শন পেতে নৈহাটি স্টেশন থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে এই পুজো প্রাঙ্গণে প্রতি বছরই ভিড় জমান হাজার হাজার দর্শনার্থী।
প্রথা মেনে লক্ষ্মীপুজোর দিনেই এই কালী মূর্তি তৈরি শুরু হয়। মাত্র পনেরো দিনের মধ্যে গড়ে ওঠে এই বিশালাকার মাতৃমূর্তি। জাগ্রত বলে ভক্তকুলে যার বিপুল নামডাক। ১২ কেজি সোনার গয়না ও ২০০ কেজি রুপোর গয়না দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয় কালী ঠাকুরকে।
করোনার আগে কালীপুজো ও দীপাবলিতে এই পুজো দেখতে দিনে প্রায় ৬০ হাজার ভক্তের সমাগম হয়েছিল। এক এক জায়গায় পুজো পান কালীর এক এক রূপ। পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য জায়গায় প্রধানত নীল বর্ণের কোমল স্নিগ্ধ মাতৃমূর্তির পুজোই হতে দেখা যায়।
করোনার আগে কালীপুজো ও দীপাবলিতে এই পুজো দেখতে দিনে প্রায় ৬০ হাজার ভক্তের সমাগম হয়েছিল। এক এক জায়গায় পুজো পান কালীর এক এক রূপ। পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য জায়গায় প্রধানত নীল বর্ণের কোমল স্নিগ্ধ মাতৃমূর্তির পুজোই হতে দেখা যায়।
অন্য দিকে নৈহাটির বড়মা ঘন কৃষ্ণবর্ণা। তাঁর রূপ পুরাণের শ্মশানকালী বা রক্ষাকালীর মতো। তিনি সংহারকর্ত্রী, আবার তিনিই রক্ষক, ধারক। পাঁচ দিন ধরে এই মায়ের রূপ ফুটিয়ে তুলতে দিনরাত এক করে কাজ করেন শিল্পীরা। যার দর্শন পেতে দেশের নানা প্রান্ত থেকে ছুটে আসেন মানুষ।
এই পুজোর আয়োজনে কোনও দিনই চাঁদা তোলা হয় না। পুজোর সেবকরাই একজোট হয়ে খরচ বহন করেন এই পুজোর।
২২ ফুটের চোখধাঁধানো প্রতিমা বিসর্জনের জন্য কাঁধে তুলে নেন এলাকার মানুষই। সারা শহর ভিড় জমায় ভাসানের সময়ে। অগণিত ভক্ত চোখের জলেই বিদায় দেন মা কালীকে।