সারা শহর আলোয় মাখামাখি। দরজায় কড়া নাড়ছে দীপাবলি। তবে এই উদযাপন কিন্তু শুধু ভারতেই নয়, সীমানা পেরিয়ে ওপার বাংলাতেও জোরকদমে চলছে কালীপুজোর প্রস্তুতি। সব রীতি-রেওয়াজ মেনে বরাবরের মতোই মহা ধুমধামে পালিত হবে দীপাবলি উৎসব।
ঢাকার রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনে পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে সব আচার অনুষ্ঠান করে কালীপুজো হয়।
বেশ বড় করে শ্যামাপুজো উদযাপিত ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির মেলাঙ্গনে। ঢাকার শাঁখারী বাজার, তাঁতি বাজার ও সূত্রাপুরেও বেশ ঘটা করে পুজো হয়। কালীপুজো হয় পুরনো ঢাকার বেশ কিছু এলাকাতেও।
রমনা কালী মন্দির ও মা আনন্দময়ী আশ্রম, রাজারবাগে বরদেশ্বরী কালীমাতা মন্দির, সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দিরে কালীপুজোর জাঁকজমক দেখার মতো।
বাংলাদেশে পুরনো ঢাকায় সর্বাধিক আড়ম্বরের সঙ্গে কালীপুজো অনুষ্ঠিত হয়। পোস্তগোলা জাতীয় মহাশ্মশান, পাঁচশো বছরের ঐতিহ্যবাহী বনগ্রাম রাধা গোবিন্দ জিউ মন্দির, জয়কালী মন্দির, রামসীতা মন্দির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল ইত্যাদি বিভিন্ন মণ্ডপে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
মন্দিরে বা বাড়িতে পুজো পান প্রতিষ্ঠিত পাথর বা ধাতুর তৈরি কালী প্রতিমা। গভীর রাতে তান্ত্রিকদের মন্ত্রোচ্চারণের মাধ্যমে দেবীর আরাধনা চলে। ছিন্নমস্তকসহ বলির পশুর রক্ত, মাছ, মাংস, অন্ন, লুচি, মিষ্টান্ন উৎসর্গ করা হয় দেবীকে। আর গৃহস্থ বাড়িতে সাধারণত অতান্ত্রিক ব্রাহ্মণ্যমতে আদ্যাশক্তিকে কালী রূপে পুজো করা হয়।
ফানুস ওড়ানো থেকে প্রদীপ জ্বালানো, ভক্তিমূলক গানের অনুষ্ঠান, আরতি, প্রসাদ বিতরণ, আলোচনা সভা- সব নিয়েই দীপাবলির আনন্দে মাতেন বাংলাদেশবাসী। সন্ধ্যায় বাড়ি, মন্দির প্রাঙ্গণ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সাজিয়ে তোলা হয় প্রদীপ আর মোমের স্নিগ্ধ আলোয়। সঙ্গে থাকে রকমারি বাতি।