তিলোত্তমার বুকে কালী মন্দির, শনি ঠাকুরের মন্দির গুনে শেষ করা যাবে না। কিন্তু দুর্গা মন্দির বা জগদ্ধাত্রী মন্দির কোথায় আছে, খুঁজতে গেলে ভাবতে বসতে হবে। বউবাজারের সার্পেন্টাইন লেনে এলে অবাক করে দেবে এমনই এক মন্দির।
শনি বা কালী মন্দির নয়, এখানে রয়েছে জগদ্ধাত্রী মন্দির। কলকাতার একমাত্র এই জাগ্রত জগদ্ধাত্রী মন্দির বউবাজারের লেবুতলার সার্পেন্টাইন লেনে।
১২৯৪ বঙ্গাব্দে এক পূর্ণিমা তিথিতে প্রতিষ্ঠা হয় এই মন্দিরের। দেবীর ভক্ত কেদারনাথ দাস স্বপ্নাদেশ পান, বউবাজারের এই অঞ্চলে মন্দির তৈরি করে অধিষ্ঠান করতে হবে দেবী জগদ্ধাত্রীর।
সেই মতো এই মন্দির নির্মাণ করেন তিনি। স্থানীয় বাসিন্দারা এই মন্দিরকে বলেন ঠাকুরবাড়ি। ভক্তদের বিশ্বাস, জাগ্রত এই জগদ্ধাত্রী বছরে এক বার নয়, সারা বছর ধরে মনস্কামনা পূরণ করেন ভক্তদের।
বিপদে পড়লে ভক্তরা ছুটে যান জগদ্ধাত্রীর কাছে। মুহূর্তে বিপদ থেকে মুক্তি পান তাঁরা। এমনই বিশ্বাসে এই শতাব্দী প্রাচীন মন্দিরে সব সময়েই ভিড় থাকে ভক্তদের।
দূর-দূরান্ত থেকে দেবী দর্শনে আসেন তাঁরা। তবে শহর কলকাতার অনেক মানুষের কাছেই এই মন্দিরের ঠিকানা অজানা।
বাইরে থেকে দেখলে মন্দির বলে বোঝা যায় না। মন্দিরের মুখ পশ্চিম দিকে। অনেকটা বাড়ির দালানের মতো। সামনেই রয়েছে উঠোন। তার চার পাশে ঘর।
মন্দিরের বেদী দাঁড়িয়ে রয়েছে তিনটি খিলানের উপরে। গোলাকার বেশ কিছু স্তম্ভ রয়েছে বেদীকে ঘিরে। ভক্তদের বসার বা অপেক্ষা করার জন্য রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা।
বেশ কয়েকটি অলিন্দ রয়েছে, সেখান থেকেই দেবী দর্শন করেন ভক্তরা। দেবীর অধিষ্ঠান গর্ভগৃহে। তার দরজা অপূর্ব ভাস্কর্যমণ্ডিত।
অষ্টধাতুর জগদ্ধাত্রী সিংহের উপরে উপবিষ্ট। শুধু জগদ্ধাত্রী পুজোর সময়ে নয়, নিত্য পুজো হয় ঠাকুরবাড়ির জগদ্ধাত্রীর।