আমাদের পশ্চিমবাংলা মূলত কৃষি নির্ভর রাজ্য। এইজন্য শস্য-শ্যামলা বাংলাও বলা হয়ে থাকে। চাষীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে ফসল ফলান বলেই আমরা বিভিন্ন শাকসবজি থেকে শুরু করে চাল,গম সবকিছুই পেয়ে থাকি। এই ধারণাতে নিজেদের এবারের পুজো মণ্ডপ তৈরি করছে হাওড়ার অনুশীলন সমিতি।
১৯৪৬ সালে নিজেদের প্রথম পুজো শুরু করে এই ক্লাব। এই বছর ৭৭ তম বর্ষে এসে পৌঁছেছে এই ক্লাবের দুর্গাপুজো। থিমের নাম তাঁরা দিয়েছেন যাপনচিত্র। পুরো মণ্ডপ জুড়ে ধান রাখার হাড়ি ব্যবহার করা হয়েছে। এ ছাড়াও কিছু অংশে পাঠের ব্যবহার রয়েছে। বেতের কাজ আছে। চাষীদের ঘরের যে কারুকার্য থাকে তা প্লাইউডের দেওয়ালে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে। প্রতিমা তৈরি করা হচ্ছে ঐতিহ্য বজায় রেখে। দেবী পক্ষের সূচনা কালে পুজো মণ্ডপের উদ্বোধন করা হবে। পুজোর দিন গুলোতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হবে। নাচ, আবৃত্তি সহ প্রদীপ জ্বালানোর মতো প্রতিযোগিতারও আয়োজন করা হয়।
থিম শিল্পী : বাবাই মালিক
প্রতিমা শিল্পী : গোপাল পাল
যাবেন কী করে : হাওড়া স্টেশন থেকে আন্দুল রোডের বাস ধরে ফজির বাজার নেমে তার উল্টো দিকেই এই পুজো মণ্ডপ।