ছবি সংগৃহিত
সকলেই জানেন দুর্গাপুজো শেষে কোজাগরী পূর্ণিমার দিন পূজিত হন মা লক্ষ্মী। কিন্তু ওই একই দিনে মা সরস্বতীকেও পুজো করা হয় বিনপুর ২ ব্লকের হাড়দা গ্রামে। একই চালায় লক্ষ্মী-সরস্বতীর আরাধনা চলে একসঙ্গে।
লক্ষ্মীর বাঁ দিকে থাকেন সরস্বতী। তাঁদের দুই পাশে থাকে সখী এবং সেবাদাসী। উপরে থাকেন ‘লুক-লুকানি’ এবং মাথার উপরে থাকেন নারায়ণ। বিষ্ণুপুরাণ মতে, নারায়ণের দুই স্ত্রী লক্ষ্মী এবং সরস্বতী। তাই এই গ্রামে তাঁদের পুজোও করা হয় একসঙ্গে।
বংশপরম্পরায় প্রায় ১৬২ বছর ধরে এই গ্রামে চলে আসছে ধনদেবীর সঙ্গে বিদ্যাদেবীর যুগ্ম আরাধনা। এমনকি দুর্গাপুজোর থেকেও বেশি আনন্দ হয় এই পুজোয়, যা এখানকার সাহা ও মণ্ডল পরিবারের উদ্যোগে দেড়শো বছরেরও বেশি সময় ধরে হয়ে আসছে। পাঁচ দিন ধরে চলে এই পুজো। সেই উপলক্ষে সাত দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিভিন্ন নামীদামি শিল্পীও যোগ দেন।
পাঁচ দিনের আরাধনা ছাড়াও হাড়দার এই পুজোয় আর একটি বিশেষত্ব হল এই উপলক্ষে প্রচুর পরিমাণে জিলিপি তৈরি। চালের গুঁড়ো দিয়ে বানানো এই জিলিপির স্বাদ সাধারণ জিলিপির থেকে আলাদা।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।