ভাবনায় যিনি, সেই ইন্ডিয়ান আর্ট কলেজের প্রাক্তনী অভিজিৎ ঘটক আনন্দবাজার অনলাইন-কে জানাচ্ছেন, শ্যামা পল্লী শ্যামা সঙ্ঘের দুর্গা মণ্ডপে দর্শনার্থী ঢুকলেই মায়ের সঙ্গে একাত্মতা বোধ করবেন। মা দুর্গা, মানুষের ঢল, মন্ডপ, দর্শনার্থীরা— সব মিলেমিশে যেখানকার যত দূরত্ব একাকার হয়ে যাবে। এঁদের এবারের থিমের যে শিল্প-বার্তা, তা বলছে, এখানে মানুষই শিল্পের মাধ্যম।
মন্ডপের বেশিরভাগটা 'লাইভ'! বেনারসের দশাশ্বমেধ ঘাটে প্রতি সকাল-সন্ধ্যেয় আরতি করা ১৬ জন পুরোহিত আসছেন এঁদের দুর্গা প্রতিমাকে প্রতিপদ থেকে বিজয়া দশমী পর্যন্ত আরতি করতে। প্যান্ডেলে ঢুকলেই যা চোখ টানবে। দর্শনার্থীরা প্যান্ডেলে ঢুকে নিজেদের ভেতর যা কথা বলবেন, আলো ও শব্দের খেলায় তা-ই প্রতিধ্বনিত হবে। মণ্ডপে দর্শকদের পদধ্বনি তাঁরাই শুনবেন প্রতিধ্বনি রূপে। জাগতিক সব কিছু যেন মিলেমিশে, প্রতিধ্বনিত হয়ে এক ও অবিনশ্বর হচ্ছে। তাই এই ভাবনার নাম 'সম্পৃক্ত'।
এ হেন ভাবনায় তৈরি মন্ডপের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রতিমা গড়ার পরিকল্পনাও নিয়েছেন থিম শিল্পী অভিজিৎ। কর্নাটকের বাদামিতে যে পাথরের তৈরি অষ্টাদশভূজা মা দুর্গার মন্দির আছে, তার দেবীর অনুকরণে এঁদের পুজোর প্রতিমা এ বছর! এঁদেরও এবার দুর্গার ১৮ হাত!
কীভাবে যাবেন :যাদবপুর ৮বি বাস স্ট্যান্ড থেকে সোজা গড়িয়া অভিমুখে এগিয়ে সুলেখা মোড়ে সুকান্ত সেতুর উল্টোদিকে গলির ভেতরে এই পুজো।
ভাবনা : সম্পৃক্ত
ভাবনায় ও প্রতিমার ভাবনায় : অভিজিৎ ঘটক
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।