আহিরীটোলা সর্বজনীনের থিম ‘আকাশবাণী’
মহালয়ার ভোর মানেই বাড়ির রেডিয়োটা ঝেড়েঝুড়ে ঝালিয়ে নেওয়া বাঙালির এক চিরন্তনী। বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠে চণ্ডীপাঠ। বছরভর রেডিয়ো চলুক বা না চলুক, এই দিনটায় তারই টানে বাঙালির ঘুম ভাঙা।
আহিরীটোলা সর্বজনীনের থিম ‘আকাশবাণী’
এক সময়ে রেডিয়ো ছিল বঙ্গজীবনের অঙ্গ। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রযুক্তি এখন তার সবটুকু এনে দিয়েছে মুঠোফোনেই। তবু বড় রেডিয়ো এখনও বাঙালির আবেগের নাম। চিরায়ত সেই ভালবাসাকেই এই পুজোয় ফিরিয়ে এনেছে আহিরীটোলা সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি।
এ বছর আহিরীটোলা সর্বজনীনের থিম ‘আকাশবাণী’। পুরনো দিনের কালজয়ী গানকে নতুন করে তুলে ধরেছে এই পুজো। মান্না দে, লতা মঙ্গেশকর, কিশোর কুমারের মতো একাধিক নামজাদা সঙ্গীত শিল্পীকে শ্রদ্ধা জানিয়েছে তাদের মণ্ডপসজ্জা।
আহিরীটোলা সর্বজনীনের থিম ‘আকাশবাণী’
মণ্ডপে রাখা হয়েছে ৩০ ফুটের পেল্লায় গ্রামোফোন। রাখা হয়েছে পুরনো দিনের রেডিয়ো। ক্যাসেট, সিডি, ডিভিডি মিলিয়ে প্রায় ১৫ হাজার পুরনো কালেকশন ব্যবহার করা হয়েছে থিম সাজাতে। তার সবটুকু জুড়ে একটাই গন্ধ। ফেলে আসা দিনের নস্ট্যালজিয়ার।
এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের একটি অংশ।