সন্তোষপুরের পুজো প্রাঙ্গণ
সন্তোষপুর আদি সর্বজনীন দুর্গোৎসব পুজো কমিটি এই বার পর্দাপণ করল তাদের ৭৩তম বর্ষে। কলকাতার দুর্গাপুজা সম্মানিত হয়েছে বিশ্বের দরবারে। সেই আনন্দে সামিল হয়েছেন গোটা রাজ্যবাসী। কলকাতার দুর্গাপুজোর আড়ম্বর ও আনন্দই এর সম্পদ। তাই এ বার নতুন উদ্যমে আরও বেশি জাঁকজমকের সঙ্গে দুর্গাপুজো আয়োজন করতে চলেছে সন্তোষপুর আদি সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি।
এই কমিটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৫০ সালে, স্বাধীনতার ঠিক তিন বছর পরেই। জন্মলগ্নে এই পুজো খুব ছোট করে হলেও দিনে দিনে কর্মকর্তাদের নিরলস পরিশ্রমে এই পুজো আজ দক্ষিণ কলকাতার অন্যতম আর্কষণে পরিণত হয়েছে। এই বছর তাঁদের মণ্ডপে থাকছে বাংলার ঘরের ছোঁয়া। এবারের থিম বাংলার ঐতিহ্যবাহী আদিবাসী শিল্প। মণ্ডপ সজ্জায় ব্যবহৃত হচ্ছে দক্ষিণ ২৪ পরগণার বারুইপুরে তৈরি মাটির পাত্র। আপনিও যদি পেতে চান বাংলার নিজস্ব আদিবাসী শিল্পের ছোঁয়া তা হলে ঘুরে আসতে পারেন সন্তোষপুর আদি সার্বজনীনের দুর্গা মণ্ডপ থেকে।
যাদবপুর রেল স্টেশন ও ইএম বাইপাস দু’দিক থেকেই সহজে পৌঁছতে পারবেন এই প্যান্ডেলে। যাদবপুর সুলেখার দিক থেকে সুকান্ত সেতু পার করে ১৫০মিটার এগোলেই দেখতে পাবেন মাটির পাত্রে সাজানো দুর্গা মণ্ডপের ভিতর মায়ের মৃন্ময়ী রূপ। পূজা কমিটির সদস্যদের কথায় পুজোর ক’দিন এই প্যান্ডেলই হয়ে ওঠে পল্লীবাসীদের কাছে মিলনস্থল। তাঁদের কথায় প্রত্যেক বছর অষ্টমীর দিন প্রায় ২৫০০ থেকে ৩০০০ লোক অঞ্জলি দেন তাদের প্যান্ডেলে।
এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের একটি অংশ।