পিতৃপক্ষের অবসানে মাতৃ পক্ষের সূচনা। হাতে আর এক সপ্তাহ। পুজোর আনন্দ আবেশে মেতে উঠেছেন শহরের প্রতিটি মানুষ।
আধ আলো পরিবেশের সঙ্গে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের মহিষাসুরমর্দিনি পাঠ শুনলে যেন কাঁটা দেয় গায়ে। সঙ্গে মন ভরে ওঠে এক অজানা খুশিতে।
মোমবাতি বা প্রদীপের আলোয় চোখ আঁকতে ব্যস্ত শিল্পীরা। কুমোরটুলি হোক বা অন্য কোনও পটুয়া পাড়া প্রায় সব জায়গাতেই এক ছবি। প্রত্যেকে ব্যস্ত শেষ মুহূর্তের কাজে।
ছোট থেকে বড় নানা প্রতিমার বাহারে সেজে উঠেছে কুমোরটুলিও। সব কিছুই যেন জানান দিচ্ছে মা এসে গিয়েছেন।
দুর্গা পুজো মানে শুধু কোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়। বরং দুর্গা পুজো মানে জাতি ধর্ম নির্বিশেষে এক হওয়ার সময়। বাঙালির আবেগের আরেক নাম দুর্গা পুজো।
পাড়ায় পাড়ায় অনেক আগে থেকেই শুরু হয়ে গেছে প্যান্ডেল বাঁধার কাজ। এখন তা শেষের দিকে। অনেক প্যান্ডেলের তো উদ্বোধনও হয়ে গেছে।
গত ২২ তারিখ এর সঙ্গে কলকাতাবাসী পেয়েছে তাদের পুজোর উপহার নতুন টালা ব্রিজ। মহালয়ার দিনেই মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেছেন ২৭৪টি পুজোর।
বাঙালির দুর্গা পুজো আজ আর শুধু বাঙালির কাছে নয়, সম্মানিত হয়েছে বিশ্বের দরবারে। তাই এবার পুজোর মজা যেন আরও বেশি।
এমনিতেই গত দু’বছরের কোভিড ত্রাশ কাটিয়ে উঠে এবার যেন পুজোতে একটু স্বস্তির ছোঁয়া। তার উপর তার আনন্দ দ্বিগুণ হয় যখন বিশ্বের দরবারে আবারও শ্রেষ্ঠ আসন লাভ করে ভারতবর্ষ।
সাধারণ মানুষও আর অপেক্ষায় না থেকে বেরিয়ে পরেছেন ঠাকুর দেখতে। উত্তর থেকে দক্ষিণ সর্বত্রই পুজো পুজো রব।
শুধু আমরা কেন! প্রকৃতিও জানান দিচ্ছে তারই। আকাশে বাতাসে শরতের ছোঁয়া। সাদা কাশ ফুল আর শিউলি ফুলের গন্ধ শরতের ভোরে যেন তারই জানান দিয়ে গেছে।
এবারে দেবীর গজে আগমন। তাই শষ্যপূর্ণা বসুন্ধরাও যেন অপেক্ষা করে আছে মায়ের আগমনেরই।