চোরবাগান শীল বাড়ির পুজোর প্রচলন করেন রামচাঁদ শীল মহাশয়।
প্রথম দিকে রামচাঁদ মহাশয় এবং তার স্ত্রী, কুল-গুরুর বাড়িতে দুর্গাপুজো শুরু করেন। এর পর ১৯৫৬-এ কলকাতার চোরবাগান শীল বাড়িতে মহা সমাগমে শুরু করা হয় দুর্গাপুজো। আজও রীতি মেনে চলছে তার ধারা।
শীল বাড়ির অর্ঘ্য জানিয়েছেন, তাঁদের এই পুজো হয় ১০ দিন ধরে। মহালয়ার পূণ্য তিথিতে ঘট স্থাপনের মধ্য দিয়ে পুজোর সূচনা করা হয়।
মহা ষষ্ঠীর দিনে অনুষ্ঠিত হয় মায়ের বোধন।
মহা সপ্তমীতে, কলা বউ এর স্নান হয় প্রথমে। তারপর, দেবীর চক্ষুদান এবং প্রাণ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে সপ্তমীর পুজোর আয়োজন শুরু হয়।
শীল বাড়ির পুজোর সব থেকে আকর্ষণীয় বিষয়, বাড়ির সকল বিবাহিত দীক্ষিত মহিলারা সন্তানের মঙ্গল কামনার স্বার্থে ধুনো পোড়ানোর রীতির অনুষ্ঠানে অংশ নেন। ধুনো পোড়ানোর রীতির সময় বাড়ির সকল বিবাহিতারা তাঁদের সন্তানদের কোলে বসিয়ে রাখেন।
শীল বাড়ির পুজোয় ক্ষুদে থেকে বয়স্ক, সকলে একসঙ্গে সামিল হন অষ্টমীর আরাধনায়।
নবমীতে প্রথমে গাভী পুজো দিয়ে শুর হয়। এরপর হয় সন্ধিপূজা। ১০৮ টি প্রদীপ ও পদ্মফুল মা দুর্গাকে উৎসর্গ করা হয়।এরপর, মহা নবমীতে শীল বাড়িতে সধবা এবং কুমারী পুজো করা হয়।
দশমীতে অন্যান্য সব জায়গায় সিঁদুর খেলা হলেও শীল বাড়িতে কোনও রকম সিঁদুর খেলার প্রচলন নেই। সন্ধ্যা বেলায় দেবীকে বরণ করে নিরঞ্জন দেওয়া হয়।
পুজোর ভোগের বিপুল আয়োজনে করা হয় থাকে। লুচি, কচুরি, মিষ্টি-সহ থাকে আরও অনেক কিছু। নবমীর দিনে শীল বাড়ির সংলগ্ন সকল দুস্থ পল্লিবাসীর জন্য দুপুরের খাবারের ব্যবস্থাও করা হয়।