ভবানীপুর মল্লিক বাড়ির পুজো
কলকাতার ভবানীপুর মল্লিক বাড়ির পুজো শুরু করেন রাধাগোবিন্দ মল্লিক। মল্লিক পরিবারের আদি নিবাস ছিল গুপ্তি পাড়ায়। সেখানেই প্রথম শুরু হয় পুজো। তবে, কলকাতায় চলে আসার পর বেশ কিছু বছর বন্ধ ছিল পুজো। পরে রাধাগোবিন্দ মল্লিকের পুত্র সুরেন্দ্র মাধব মল্লিক ১৯২৪ সালে আবার এই পুজো পুনরায় চালু করেন।
ভবানীপুর মল্লিক বাড়ির পুজো
এই বছর ৯৮ তম বর্ষে পা দিল মল্লিক বাড়ির পুজো। সুরেন্দ্র মাধব মল্লিক যখন পুজো পুনরায় চালু করেন, তখন ওনারা ছিলেন সাত ভাই। যৌথ উদ্যোগে শুরু হয় পুজো।
বৈষ্ণব মতে এখানে পুজো করা হয়। অর্থাৎ পুজোতে কোন রকম বলির নিয়ম নেই। মহালয়ার পরের দিন যখন মা চন্ডীর ঘট বসে, তখন থেকে শুরু হয় চণ্ডীপাঠ। সেইসঙ্গে মায়ের বিসর্জন পযর্ন্ত নিরামিষ খাওয়ার রীতি। দশমীতে মায়ের বিদায়ের পর হয় আমিষ ভোজন। বাড়ির ঠাকুর তৈরির রীতি বেশ আকর্ষণীয়। মায়ের কাঠামো পুজো হয় জন্মাষ্টমীর পরের দিন। বাড়ির দালানেই প্রতিমা তৈরি করা হয়। একচালা ও ডাকের সাজ দেওয়া হয় দুর্গাকে। দশমীর দিন, বাড়ির সবথকে বড় সধবা মহিলা প্রথমে মা-কে বরণ করেন। তারপর বাকিরা বরণ করেন।এরপর সিঁদুর খেলার রীতি মেনে কাঁধে করে বিসর্জনের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয়।
এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের অংশ।