পুজো এলেই পাড়ার দুর্গা মণ্ডপের এক কোণে শুভম বহু যত্নে প্রতিমা গড়ে। — নিজস্বচিত্র
একটি বা দু’টি নয়, চার-চারটি দুর্গা প্রতিমা গড়া রবরাত মিলেছে।কাজ তো কম নয়, হাতে খুব বেশি সময়ও নেই।তাই দম ফেলার ফুরসত নেই হেতমপুর ছুতোর পাড়ার শুভম সুত্র ধরের। পড়া শোনার ফাঁকে প্রতিমা গড়ছে বছর এগারোর ওই বালক।উপায় কী, বন্ধু দের মণ্ডপে সময়ে প্রতিমা পৌঁছে দিতে হবে তো!
খুব ছোট থেকেই পাড়ার এক প্রতিমা শিল্পীকে দেখে প্রতিমা গড়ার শখ তৈরি হয়েছিল হেতমপুররাজ উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র শুভমের। বিশ্বকর্মা, দুর্গা, কালী, সরস্বতী— পুজো এলেই পাড়ার দুর্গা মণ্ডপের এক কোণে শুভম বহু যত্নে প্রতিমা গড়ে। খুদে শিল্পীর কাজ মনে ধরে বড় দেরও।ধীরে ধীরে ‘নামডাক’ হয়েছে। স্কুল ও পড়ার বন্ধুরা বায়না জুড়ে দিয়েছে তাদের জন্যও দুর্গা প্রতিমা গড়ে দিতে হবে। আবদার ফেলতে পারেনি শুভম। এবার অগাধ ছুটিতে নিজের জন্য একটি এবং বন্ধুদের জন্য আরও তিনটি প্রতিমা তৈরি করছে সে।শর্ত একটাই, প্রতিমা সাজানোর জন্য যা কিছু লাগবে, তাবন্ধু দেরই দিতে হবে।এনে দিতে হবে মাটি, কাঠ, বাঁশের টুকরো, রং সবই।বাকি দায়িত্ব তার।সেই শর্ত পূরণ করেছে শুভমের বন্ধুরা। দু’টি প্রতিমার চক্ষুদান হয়েছে। কিন্তু বাকি দু’টি এখনও মাটির কাজে আটকে।
আরও পড়ুন: নেই-রাজ্যের পুজোয় রং, মাটি, অসুর, অস্ত্র ছাড়াই চমক প্রতিমায়
আরও পড়ুন: প্রতিকূলতার পুজো কি জেগে উঠবে থিমে শিল্পের উত্তরণে?
বন্ধু পিন্টু, বিজু রাহুলরা বলছে, নির্দিষ্ট সময়ে সেরা কাজই শুভম করে দেবে।সমস্বরে বলছে ও খুব ভাল ঠাকুর গড়ে। শুভমের মুন্সিয়ানা দেখে মুগ্ধ শিল্পী উৎপল সূত্রধর। তিনি জেলার বিভিন্ন বড় বাজেটের পুজোয় ১০টি দুর্গা প্রতিমা গড়েন।তাঁর কথায়, ‘‘ও ছেলে বড় হয়ে দারুণ শিল্পী হবে!’’