১৯৫১ সালে সেই লড়াইয়ের ফলশ্রুতি হিসেবে সবাইকে একত্রিত করার প্রচেষ্টায় জন্ম নেয় এক প্রত্যয়ের যার প্রজ্বলিত মশাল আজও সমহিমায় ভাস্বর। সৃষ্টি হয় অঞ্চলের প্রথম দুর্গা পুজার, পথ চলা শুরু করে দমদম পার্ক সার্বজনীন।
১৯৫১ সালে সাবেকি পুজার মাধ্যমে পথ চলা শুরু করলেও বিগত বছরগুলিতে থিম পুজোর মানচিত্রে স্বকীয় ভঙ্গিতে নিজের অস্তিত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে ।
থিম পুজা শুরু করলেও সাবেকিয়ানা এবং পুজোর রীতিনীতি আচার যথাযথ মর্যাদায় বছরের পর বছর ধরে পালন করে আসছে দম দম পার্ক সর্বজনীন। এই কারণেই বছরের পর বছর এই পুজো আঙ্গিকে, ঐতিহ্যে, আভিজাত্যে অম্লান।
এই বছর পুজোর থিম 'একত্ব'। এ বার গড়ার গল্প বলবে দমদম পার্ক সর্বজনীন। ৭২ তম দুর্গোৎসবে উঠে আসবে এক হয়ে ওঠার গল্প। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে সমাজবদ্ধ জীব হিসেবে ঘাত প্রতিঘাতের ভাঙাগড়ায় লেখা থাকবে মানবতার জয়গান। পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সর্ববৃহৎ মিলন উৎসব হয়ে উঠুক এই বার্তা দিচ্ছে এই পুজো। শুধু শারদোৎসব এর সময়কাল নয়, জাতি - ধর্ম - বর্ণ নির্বিশেষে আমাদের জীবনযাত্রায় 'এক' অর্থে ,একত্রে থাকার প্রয়াসই হলো 'একত্ব’।
পুজোর যুগ্ম সম্পাদক প্রতিম ভট্টাচার্যের কথায়,”দম দম পার্কের সব থেকে প্রাচীন পুজো আমাদের। প্রতি বছরের মতো এই বছরের পুজোতেও একটি বার্তা রয়েছে। এই বছরে আমাদের পুজোয় তরুণ থেকে বয়স্ক সবাই রয়েছেন।“
কী ভাবে যাবেন ভিআইপি রোড ধরে দম দম পার্ক বাস স্টপে নেমে দম দম রোড ধরে মিনিট পাঁচেক হাঁটলেই দম দম পার্কের ঠিক কেন্দ্র স্থলে রয়েছে পুজো মণ্ডপ।
যশোর রোড দিয়ে এলে দম দম পার্ক বাস স্টপে নামলে দম দম পার্ক রোড ধরে মিনিট সাত থেকে দশ হাঁটলেই পৌঁছে যাবেন মণ্ডপে। বাজারের কাছেই এই মণ্ডপ।
থিম একত্ব
থিম ও প্রতিমা শিল্পী ধীমান সুতার
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।