বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের হাতে শুরু হওয়া ধারার মাঠ ভ্রাতৃ সঙ্ঘের এই পুজোয় এবারের থিম ‘মহালয়া‘। মণ্ডপ জুড়ে পিতৃপক্ষের অবসানে তর্পণের মাধ্যমে পূর্বপুরুষদের শ্রদ্ধা নিবেদন থেকে শুরু করে দিনটির অন্যান্য বৈশিষ্ট্য দেখানো হয়েছে। পাশাপাশি মহিষাসুরমর্দিনীর বিভিন্ন ছোট ছোট অংশ সারা মণ্ডপে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। ক্লাবের কোষাধক্ষ সন্তু হাজরা বলেন, ‘‘আমাদের ছোটবেলায় মহালয়ার দিন কুমোরটুলি থেকে ঠাকুর আনতে যাওয়ার নিয়ম প্রচলিত ছিল। সেই বিষয়টি মণ্ডপে দেখানো হয়েছে। এছাড়া বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ‘মহালয়া’ থিমকে আমরা বেছে নিয়েছি এবং ওঁর একটি আবক্ষ মূর্তি বানিয়েছি।"
ক্লাবের সঙ্ঘ ভবনটি ১৯৩৫ সালে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র উদ্বোধন করেন। সেই বছর থেকেই ক্লাবে পুজো চালু হয়। পুরনো দিনের ফিকে হয়ে আসা স্মৃতি ফিরিয়ে আনতে এবার সচেষ্ট বাঙালির আরেক আইকনিক এই মানুষটির স্মৃতি বিজড়িত এই পুজোটির উদ্যোক্তারা। মহালয়ার দিনটির আসল মাহাত্ম্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরে তা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে চাইছেন তারা।
প্রতিমা শিল্পী- অমিত কর্মকার
থিম শিল্পী- টিম হ্যালুসিনেশন ও ক্লাবের সদস্যবৃন্দ
পথ নির্দেশ - আনন্দ দত্ত লেনে অনিল ভবনের বিপরীতে
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।