প্রথমার সকালে প্রতিমা আবাহন করেন ব্লকের মহিলারা। তৃতীয়ার সন্ধ্যায় কিংবদন্তী ভারতনাট্যম নৃত্যাচাৰ্য্য গুরু থাঙ্কমনি কুট্টি উদ্বোধন করেন এই পুজোর। উপস্থিত ছিলেন বিখ্যাত পরিবেশবিজ্ঞানী স্বাতী নন্দী চক্রবর্তী। ক্রমবর্ধমান ডেঙ্গু সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য পুজোকেই বেছে নিয়েছে পুজো কমিটির সদস্যরা।
পুজোর ঠিক আগেই বিভিন্ন রকম ডেঙ্গু সচেতনতা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে নিউটাউন ডেভলপমেন্ট কলকাতা ডেভলপমেন্ট অথরিটি। তাঁদের এই উদ্যোগকে আরও জোরদার করতে নিউটাউন বি সি ব্লকের মণ্ডপে থাকছে বিশেষ ডেঙ্গু সচেতনতা স্টল। বিভিন্ন রকমের সচেতনতা মূলক ব্যানার, লিফলেট এই স্টল থেকে বিতরণ করা হচ্ছে। পার্শ্ববর্তী এলাকায় নিয়মিত ব্লিচিং ও লার্ভিসাইট ছড়ানোর জন্য তৈরী করা হয়েছে বিশেষ একটি স্বেচ্ছাসেবকদের দল।
তুলসী গাছের মশা-প্রতিরোধক গুনের কথা মাথায় রেখে মহালয়া থেকে পুজোর দিন গুলিতে থাকছে তুলসী গাছ বিতরণ কর্মসূচি।
প্রতি বছরের মতো এবারও এই পুজোর শুরু হয় সামাজিক কার্যকলাপের মাধ্যমে। সংস্থার সহসভাপতি মলয় কুমার পাল বলেন, 'নিউটাউন বি সি ব্লক কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন আবাসিকদের স্বার্থে নানান কর্মসূচি নিয়ে থাকে। তার সবই মানুষের সেবার জন্য।'
১০ বছরের এই পুজোর এ বছরের থিম 'বাংলার মুখ' যেটা বাংলার পট-চিত্র ও হস্ত শিল্প ব্যাবহার করে তৈরি করা হচ্ছে। এবারের বিশেষ আকর্ষণ বাংলার লোকশিল্প।
ব্লকের তরুণ সাংস্কৃতিক সম্পাদক সুদীপ চট্টোপাধ্যায় জানালেন, 'মহাপঞ্চমীর সন্ধ্যায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার লক্ষী-নারায়ণ অপেরা আমাদের মণ্ডপে পুতুল নাচ পরিবেশন করা হয়েছে। প্রায় ২১৫ বছরের পুরোনো এই সংস্থাকে পেয়ে আমরা উদ্বেলিত।"
সংস্থার সহসভাপতি স্বরূপ কুমার কুন্ডু বলেন, 'পুতুল নাচ, বাউল গানের পাশাপাশি বিভিন্ন জেলার ৪০ জন হস্তশিল্পীর সমন্বয়ে বসেছে সোনাঝুড়ির হাট। এই মেলা চলবে দশমী পর্যন্ত।'
থিমের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে এই পুজোয়।
ব্লকের আবাসিকরা বিগত এক মাস ধরে আল্পনায় ভরিয়ে তুলেছে পুজো প্রাঙ্গণ।
সহ-সম্পাদক পিনাকী রায় কর্মকারের উদ্যোগে আয়োজিত হয়েছে বাংলার ঐতিহ্যগত আলপনা প্রতিযোগিতা।
এ ছাড়াও থাকছে কচিকাঁচাদের জন্য ফ্যান্সি ড্রেস কম্পিটিশন, বয়স্কদের জন্য গানের লড়াই, রান্না প্রতিযোগিতা ইত্যাদি। সব মিলিয়ে নিউটাউনের জমজমাট এই পুজোয় সুন্দরভাবে প্রতিফলিত হচ্ছে বাংলার মুখ।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।