পাড়ায় ছোট করে বহু বছর আগে পুজো শুরু হলেও থিম পুজোর শুরু ৬ বছর আগে। বাংলার দুর্গাপুজোর একটি বিশিষ্ট অঙ্গ নবপত্রিকা। শব্দটির আক্ষরিক অর্থ ন’টি গাছের পাতা। তবে বাস্তবে নবপত্রিকা নটি পাতা নয়, নটি গাছ। এগুলি হল কদলী, কচু, হরিদ্রা, জয়ন্তী, বিল্ব, দাড়িম্ব, অশোক, মান ও ধান। একটি সপত্র কলাগাছের সঙ্গে অপর আটটি সমূল সপত্র গাছ একত্র করে একজোড়া বেল-সহ শ্বেত অপরাজিতা লতা দিয়ে বেঁধে লালপাড় সাদা শাড়ি জড়িয়ে ঘোমটা দেওয়া বধূর আকার দেওয়া হয়। তারপর তাতে সিঁদুর দিয়ে সপরিবার প্রতিমার ডান দিকে দাঁড় করিয়ে পুজো করা হয়। নবপত্রিকার ৯টি উদ্ভিদ আসলে দুর্গার ৯টি বিশেষ রূপের প্রতীকরূপে কল্পনা করা হয়। এই ৯ দেবী হলেন রম্ভাধিষ্ঠাত্রী ব্রহ্মাণী, কদ্বাধিষ্ঠাত্রী কালিকা, হরিদ্রাধিষ্ঠাত্রী উমা, জয়ন্ত্যাধিষ্ঠাত্রী কার্তিকী, বিল্বাধিষ্ঠাত্রী শিবা, দাড়িম্বাধিষ্ঠাত্রী রক্তদন্তিকা, অশোকাধিষ্ঠাত্রী শোকরহিতা, মানাধিষ্ঠাত্রী চামুণ্ডা ও ধান্যাধিষ্ঠাত্রী লক্ষ্মী। এই নয় দেবী এক সঙ্গে ‘নবপত্রিকাবাসিনী নবদুর্গা’ নামে নবপত্রিকাবাসিন্যৈ নবদুর্গায়ৈ নমঃ মন্ত্রে পূজিতা হন। নব দুর্গাই এই বছরের থিম ব্যাটরা মহিলা সংঘের।
ক্লাবের সম্পাদক পাপিয়া মুখোপাধ্যায়ের কথায়, ‘এই বছর আমাদের থিম নব পত্রিকা। আমাদের মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে লোহার কাঠামোর উপর। পুরনো রাজবাড়ির আদলে তৈরি হচ্ছে মণ্ডপ।’
থিম : নব পত্রিকা
থিম শিল্পী : সম্রাট ভট্টাচার্য
প্রতিমা শিল্পী : গোপাল পাল
কী ভাবে যাবেন : হাওড়া বেলেপোল বাস স্টপে নেমে টোটো করে ১৫ মিনিটেই পৌঁছে যেতে পারবেন পুজো মণ্ডপে। পুষ্পশ্রী সিনেমা হলের কাছেই মণ্ডপ। অথবা হাওড়া কদমতলা বাস স্টপে নেমে বেলেলিয়াস রোড ধরে পুষ্পশ্রী সিনেমা হলের দিকে মিনিট পাঁচেক হাঁটলেই পৌঁছে যাবেন এই মণ্ডপে।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।