‘অন্ধকারের উৎস হতে উৎসারিত আলো’।
রবিঠাকুরের গানের এই লাইন থেকে অনুপ্রাণিত বাসুদেবপুর পল্লি উন্নয়ন সমিতির এ বারের পুজো। ৬৪ তম বর্ষে তাদের থিম ‘ভাস্বর’, অর্থাৎ অন্ধকার থেকে আলোয় ফিরে আসা। তাতে তুলে ধরা হচ্ছে অসুররূপী আঁধারের বিনাশ করে জগতকে আলোর দিশা দেখাতে মায়ের মর্তে আগমন। অশুভ শক্তির প্রতীকরূপে মহিষাসুরের একাধিক মুখাবয়ব যেমন থাকছে, তেমনই বিভিন্ন চিত্রের মাধ্যমে মূল ভাবনাকে মণ্ডপ জুড়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। .
পুজোর যুগ্ম সম্পাদক স্বরূপ দাস বলেন, "বর্তমানে বিভিন্ন অন্ধবিশ্বাস, কুসংস্কার ইত্যাদি সমাজকে অন্ধকারে ঠেলে দিচ্ছে। দেবী দুর্গা এসে বিপথগামী সেই সমাজকে রক্ষা করবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি। আর তা থেকেই আমাদের এ বারের ভাবনা।"
গত ৭-৮ বছর ধরে থিমের হাত ধরেছে এই পুজো। তার আগে মায়ের ২১টি রূপ পূজিত হত। তখন থেকেই এই পূজা প্রাঙ্গণ ২১ দুর্গার মাঠ নামেই পরিচিত। স্বরূপবাবু জানান, এখন মহাষ্টমীর দুপুরে প্রায় ১২০০ এলাকাবাসীর জন্য পুজোর প্রসাদ, পোলাও ও খিচুড়ি ভোগের ব্যবস্থা থাকে। সে দিন পাড়ার প্রায় সবাই একজোট হয়ে আনন্দ করে কাটায়।
মণ্ডপসজ্জা : তপন বসু
প্রতিমা শিল্পী : পরিমল পাল
আলোক শিল্পী : উত্তম কাঁঠাল
পথ-নির্দেশ : বেহালা চৌরাস্তা থেকে সরশুনার দিকে বাসে বা অটোয় সরকারহাট স্টপেজ। সেখানেই ২১ দুর্গার মাঠ।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।