তখন গড়িয়া অঞ্চলে দুর্গাপুজো খুব একটা ছিল না। এ দিকে কাছাকাছি দুর্গাপুজো না থাকায় অঞ্জলি দেওয়া থেকে শুরু করে আরও নানা ক্ষেত্রেই সমস্যা হত পাড়ার লোকেদের, বিশেষ করে মহিলাদের। তাই এই সব সমস্যা থেকে মুক্তি পেতেই কয়েকজন বন্ধু মিলে এক সঙ্গে ঠিক করেন একটা দুর্গাপুজো করবেন।
সময়টা ১৯৭২ সাল। গড়িয়ার বালিয়া অঞ্চলের কয়েকজন বন্ধু মিলে শুরু করেন দুর্গাপুজোর। পথ চলা শুরু বালিয়া বৈশাখী সঙ্ঘের পুজোর। দেখতে সময় গড়িয়েছে। পেরিয়ে গিয়েছে ৫০টি বছর। এ বার ৫১।
প্রথম দিকে সাবেকি পুজো হলেও ২০১২ সাল থেকে শুরু থিম পুজোর। এই বছরে পুজোর থিম ‘পরাবো যতনে’। শান্তিপুরের গড়ে ওঠা বাংলার তাঁত শিল্প নিয়ে এই বারের মণ্ডপ সজ্জা। নানা মূর্তি ও আরও নানা সামগ্রী দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে এই শিল্পের প্রতিটি আঙ্গিক।
থিম পুজো হলেও সব নিয়ম মেনে আয়োজন করা হয় পুজোর। ক্লাবের সদস্য অর্ণব গুপ্তের কথায়, ‘‘থিম পুজো হলেও, সব নিয়ম মেনে পালন করা হয় পুজোর আচার। এমনকি থিমের সঙ্গে মানানসই মূর্তির সঙ্গে সঙ্গে থাকবে একটি সাবেকি মূর্তিও। সেই মূর্তিই পুজিত হবে।’’
কী ভাবে যাবেন- শহীদ ক্ষুদিরাম মেট্রো স্টেশন থেকে বেরিয়ে গড়িয়া স্টেশন রোডে উঠে বাঁ দিকে মিনিট পাঁচেক হাঁটলেই পৌঁছে যাবেন এই মন্দিরে। ইএম বাইপাস থেকে এলে ঢালাই ব্রিজে নেমে গড়িয়া স্টেশন রোড ধরে মিনিট দু’য়েক হাঁটলেই পৌঁছে যাবেন মণ্ডপে।
প্রতিমা শিল্পী: সৌম্যজিৎ ব্যানার্জি
ভাবনা: পরাবো যতনে
ভাবনায়: গোবিন্দ গিরি
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।