মা কালীকে বিভিন্ন রূপে পুজো করা হয়। প্রতিটি রূপের পুজো করার পিছনে বিশেষ কাহিনি জড়িয়ে। সাধারণত বনেদি বাড়ির পুজো বা মন্দিরে মায়ের সেই ভিন্ন রূপ ধরা পড়ে। বারোয়ারি পুজো কমিটিগুলিতে শ্যামা মায়ের পুজোই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে হয়ে থাকে।
তবে এখানে ব্যতিক্রমী বারুইপুরের অঙ্কুর ক্লাব। এই বারোয়ারি কমিটিতে মা শ্বেত বর্ণা!
বারুইপুর স্টেশন থেকে মিনিট পাঁচেক দূরে ক্লাবটি। এই বছর তাদের পুজো ৩৯তম বর্ষ। অন্যান্য বারের মতো এবারও তারা শ্বেত বর্ণা মা কালীর পুজো করছে। প্রতিমার উচ্চতা ১৬ ফুট। এলাকার বাসিন্দারা ‘সাদা মা’ নামেই এই পুজোকে চেনেন।
থিমের পুজোতে না গিয়ে বনেদিয়ানাই এখানকার প্রধান আকর্ষণ। মণ্ডপ তৈরির ক্ষেত্রে অধিক চাকচিক্য না থাকলেও রয়েছে হাতের সূক্ষ্ম কাজ। পুরো মণ্ডপ তৈরি করা হয়েছে আলপনা দিয়ে। বাঁশ, কাঠ ও কাপড়ের ওপর ফুটে উঠেছে বিভিন্ন নকশাদার আলপনা।মায়ের বেদির সামনেও রয়েছে তা। আলোর ব্যবহার থাকছে মণ্ডপ জুড়ে।
ক্লাব সদস্য অপরাজিত সেনগুপ্ত বলেন, “আমাদের কাছে এই পুজো অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ক্লাবের সবাই নিজেদের সবটুকু দিয়ে এই পুজো করতে কোনও খামতি রাখে না। পাড়ার মহিলারা মায়ের আরাধনার পুরো ভার নিজেদের হাতে নিয়েছেন। এই ক'টা দিন সবাই মিলে একত্রিত হয়ে পুজোটা করি”।
গত কাল এই পুজোর উদ্বোধন করা হয়েছে। উপস্থিত ছিলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়। আগামী ১৭ তারিখ প্রতিমা নিরঞ্জন করা হবে।
প্রতিমা শিল্পী: সনাতন রুদ্র পাল।
যাবেন কীভাবে: বারুইপুর স্টেশনে নেমে অটো বা টোটোকে বললেই নিয়ে যাবে অঙ্কুর ক্লাবের শ্যামা পুজোতে।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।