রাজারহাটের রথতলার কাছে পূর্ব কাঁজিয়ালপাড়ার কাছে কাঁজিয়ালপাড়া পূজা সমিতির দুর্গাপুজো চলতি বছর ৬৪ বর্ষে পা দিচ্ছে। পুজো যেহেতু এসেই গিয়েছে তাই পুজোর সব আয়োজন এখন তুঙ্গে। প্রস্তুতির মধ্যেই সমিতির সম্পাদক সোমনাথ মণ্ডল বললেন, ‘‘আমাদের পুজোয় ২০০০ সালে এক বার থিম হয়েছিল গ্রাম বাংলার আদলে, কিন্তু তার পর থেকে আবারও আমরা সাবেকি পুজোয় ফিরে এসেছি। চলতি বছর পুজো উদ্বোধন হবে তৃতীয়ার দিন। মহালয়ার পরের দিন পুজো কমিটি আয়োজন করেছে রক্তদান শিবির।’’
নবমীর দিন তিন জনকে নিয়ে কুমারী পুজোর চল রয়েছে এই এখানে। এর প্রচলন হয়েছে বছর দশেক আগে থেকেই। সপ্তমী, অষ্টমী এবং নবমীতে এই এলাকার সব মানুষের জন্যই ঢালাও নিরামিষ খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।
প্রতি দিন সন্ধেবেলায় দেবীর জন্য ভোগ বানানোর চলও রয়েছে। দেবীর মন্দিরে বরাবরের মতোই পুজোর আয়োজন চলছে। উৎসবের আমেজে মেতে ওঠে এই বিরাট এলাকার সকল মানুষ। প্রতিমা শিল্পী কালাচাঁদ রুদ্রপাল বহু দিন ধরে এখানে প্রতিমা তৈরির কাজের সঙ্গে যুক্ত। সোমনাথবাবু জানালেন, ‘‘সিঁদুর খেলার শেষে বর্ণাঢ্যময় শোভাযাত্রার মাধ্যমে দশমীর দিন এখানে প্রতিমার নিরঞ্জন করা হয়। তাতে বহু মানুষ অংশ নেন।’’
কী ভাবে যাবেন?
বাগুইআটি এলাকা থেকে রাজারহাট থানা বাসস্টপে নামলে পাশেই এই পুজোর প্যান্ডেল।
পুজো:
সাবেকি
প্রতিমা শিল্পী :
কালাচাঁদ রুদ্রপাল
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।