প্রতীকী চিত্র
হাতে গোনা আর মাত্র কয়েকটা দিন। তার পরেই মায়ের আগমন। বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব ও আবেগ হল দুর্গাপুজো। রথের রশিতে টান পড়ার পরপরই যার শুভ সূচনা হয়ে যায়। রথের দিনে কলকাতার বহু নামী পুজো কমিটিগুলি খুঁটিপুজোর আয়োজন করে। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এ বার শুধু উমার ঘরে আসার পালা। অশুভশক্তির বিনাশ ঘটে শুভশক্তির জয় হবে তার পরেই।
বছরের এই পাঁচটা দিন যে যতই দূরে থাকুক না কেন, ঘরে ফেরে। পরিবার, আত্মীয়, বন্ধুরা সকলে মিলে তার পর মিলনোৎসবে মেতে ওঠা। এই দিনগুলোর জন্য তাই বছরভরের অপেক্ষা। মহালয়ার কাকভোরে রেডিওয় বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের দৃপ্ত কণ্ঠে চণ্ডীপাঠ বলে দেয় পিতৃপক্ষ শেষ হয়ে মাতৃপক্ষ এসে গেল। ঠিক তার পরের দিন, প্রতিপদ তিথিতে অবাঙালিদেরও নবরাত্রির পুজো শুরু। এ বছরের দুর্গাপুজোর তিথি অনুযায়ী, পঞ্চমী শুরু হচ্ছে ৮ অক্টোবর। এর পরে মহাষষ্ঠী ৯ অক্টোবর, মহাসপ্তমী ১০ অক্টোবর, মহাষ্টমী ১১ অক্টোবর, মহানবমী ১২ অক্টোবর এবং মহাদশমী পড়ছে ১৩ অক্টোবর।
এ বছর মহাসপ্তমী বৃহস্পতিবারে। দেবীর আগমন হবে দোলা বা পালকিতে। শাস্ত্রমতে, দোলা বা পালকিতে দেবীর আগমন হলে ভয়ঙ্কর মহামারীর আশঙ্কা থাকে। পাশাপাশি, বিজয়া দশমী রবিবার। দেবী ফিরে যাবেন গজ অর্থাৎ হাতিতে চেপে। গজ হল দেবীর উৎকৃষ্টতম বাহন। দেবীর আগমন বা গমন হাতিতে হলে মর্ত্যলোক ভরে ওঠে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধিতে, ভক্তদের মনের ইচ্ছে পূরণ হয়। সেদিকেই এখন তাকিয়ে আপামর বাঙালি।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।