কারও বিয়ে ভাঙার পথে। বিয়েতে টিকে থেকেও নানা কারণে অসুখী স্বামী-স্ত্রী। এমন তো কতই ঘটে চারপাশে। দক্ষিণ ভারতের এই দুই মন্দিরে পুজো দিলেই নাকি মুশকিল আসান। দেবতার আশীর্বাদে ফের সুখের মুখ দেখে দাম্পত্য।
শ্রী কল্যাণসুন্দরেশ্বর মন্দির
তামিলনাডুর কোকিলাম্বিকা সামথা নাগাপট্টিনম জেলার থিরুমানচেরিতে শ্রী কল্যাণসুন্দরেশ্বর মন্দির। সেখানে নাকি বিয়ে-দাম্পত্যের নানা ত্রুটি সংশোধন করা হয়। তামিল ভাষায়, থিরুমানম মানে 'বিয়ে' এবং চেরি মানে 'গ্রাম'। স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, এই সেই জায়গা, যেখানে দেবী পার্বতীকে বিয়ে করেছিলেন মহাদেব। মন্দিরে শিবকে বরের পোশাকে দেবী পার্বতীর হাত ধরে দাঁড়ানোর ভঙ্গিতে দেখতে পাবেন। পাশে দেবী পার্বতীর মাথা নত।
অবস্থান: চেন্নাই থেকে নাগাপট্টিনম পর্যন্ত ট্রেন যায়। সাত ঘণ্টা সময় লাগে। সেখান থেকে থিরুমানচেরি ট্রেন-বাস দুই-ই চলে। সময় লাগে পাঁচ থেকে ছ ঘণ্টা।
শিষ্টা গুরুনাথেশ্বর মন্দির
অনেকেরই বিশ্বাস তামিলনাডুর এই মন্দিরটিও দম্পতিদের জন্য ভারী জাগ্রত। বিয়েতে, বৈবাহিক সম্পর্কে নানা অভাব ও খামতির কারণে অস্থির দম্পতিরা এই মন্দিরে পুজো দেন। কুড্ডালোর জেলার তিরুথালুরে এই শিষ্টা গুরুনাথেশ্বর মন্দির। শিব এখানে লিঙ্গ আকারে প্রতিষ্ঠিত। শিবকে এখানে অনেক নামে ডাকা হয়, যেমন- শিষ্টা গুরুনাথ, গুরু নাথেশ্বর/থাভা নেরি আলুদয়ার। বিবাহ সংক্রান্ত সমস্যার মেটাতে প্রতি সোমবার পুজো হয় এখানে। বিল্বপত্র দিয়ে ঈশ্বরের আরাধনা চলে।
অবস্থান: চেন্নাই থেকে ট্রেনে ভেল্লপুরম। ভেল্লপুরম থেকে কুড্ডালোর ৪৬ কিমি। গুরুনাথ স্বামীর মন্দির কাছেই।
(এই মন্দির সম্পর্কে প্রচলিত কাহিনিতে জীবন যাপন নিয়ে যে দাবি করা হয়ে থাকে, তা নিয়ে আনন্দবাজার অনলাইন দায়ী নয়। )
এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের একটি অংশ।