কোলে আসুক ফুটফুটে সন্তান। এমন স্বপ্ন দেখেন বহু নারীই। সন্তানলাভ নিশ্চিত করতে ছোটেন নানা ধর্মস্থানে। বিশ্বাস রাখেন ভক্তিতে, দেব-দেবীর আশীর্বাদে। আর সেই বিশ্বাসে ভর করেই পালন করেন অদ্ভুত সব রীতিও। তেমনই কিছু আচারের সাক্ষী এই মন্দিরগুলি।
অঙ্গার মতি দেবীর মন্দির:
সন্তান লাভের আশায় মন্দিরের সামনের রাস্তায় চুল বিছিয়ে উপুড় হয়ে শুয়ে শয়ে শয়ে মহিলা। তাঁদের শরীরের উপর দিয়ে হেঁটে চলেছেন পুরোহিত, গ্রামের ওঝা। এমনই আজব প্রথা ছত্তিশগড়ের ধামতারি জেলায় অঙ্গারমতি দেবীর মন্দিরে। এলাকার মানুষের বিশ্বাস, এই রীতি পালন করলেই কোলে সন্তান আসবে। আর তাই আশপাশের গ্রাম থেকে জড়ো হন মহিলারা। মন্দিরের বাইরে এই অনুষ্ঠান দেখতে ভিড় জমান কয়েকশো মানুষ।
চাকুলিয়ার দেবী দুর্গা:
কন্যাসন্তান চাই। ঝাড়খন্ডের বোকারো জেলায় একটি দুর্গা মন্দিরে তাই মানুষ দীর্ঘ ক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে দেবী দর্শন করেন। কেউ মাথা কোটেন, তো কেউ তার নাকে খত দেন। বোকারোর চাস ব্লকের চাকুলিয়া গ্রামে ১৭০ বছরের পুরনো মন্দির। এলাকার মানুষ বলেন, ভীষণ জাগ্রত এখানকার দেবী। পূজার্চনা সেরে হাজার হাজার মানুষ তাই কন্যালাভের আশায় প্রার্থনা করেন। প্রতি বছর দুর্গাপূজার শুরু দেড়শো বছরের পুরনো তামার ঘটে দেবীকে আবাহনের মাধ্যমে। সারা বছরই ভিড়। তবে নবরাত্রির সময় তিলধারণের স্থানও থাকে না। স্থানীয় মানুষের বিশ্বাস, দেবীর বরেই ঘর আলো করে আসে ফুটফুটে মেয়ে।
পেত্নী মাতা:
গুজরাটের একটি গ্রামে পূজিত হন 'পেত্নী মাতা'। আমদাবাদ থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে আমদাবাদ-খাম্বাৎ জাতীয় সড়কের ধারে ছোট্ট গ্রাম লম্বাসী। এখানেই পেত্নী মাতার মন্দির। বিপুল সংখ্যক লোকে এখানে পুজো দিয়ে মানত করেন। মন্দিরে পেত্নী মাতাকে শাড়ি ও ওড়না নিবেদনের প্রথা রয়েছে। প্রায় এক কিলোমিটার জুড়ে প্রতিটি গাছে শাড়ি জড়িয়ে বা ঝুলিয়ে রাখা থাকে। দশ হাজারেরও বেশি শাড়ি এখানে বাঁধা রয়েছে। পেত্নী মাতা মন্দিরে একাধিক প্রার্থনা নিয়ে আসেন ভক্তরা। বিবাহ ও সন্তান লাভের প্রার্থনা করেন এখানেই।
এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের একটি অংশ।