Kukur Tihar

দীপাবলির দিনেই কুকুরের পুজো! ভিন্ন উৎসবে মাতেন নেপালি সম্প্রদায়

বাড়ির সারমেয়কে পুজো করা হয় সাড়ম্বরে। নেপালের একটি ঐতহ্যবাহী উৎসব এটি। তবে ভারতীয় বংশদ্ভূত নেপালিরাও এই উৎসবে সামিল হন।

Advertisement
আনন্দ উৎসব ডেস্ক
শেষ আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০২৪ ১৪:৫৪
Share:
০১ ০৮

শুরু আলোর উৎসব। বাঙালির কালী আরাধনা। চারিদিক সেজে উঠেছে আলোয়। সারারাত জেগে চলবে কালী মায়ের পুজো। সবাই যখন আজ দীপাবলির আনন্দে উচ্ছ্বসিত, তখন নেপালিরা পালন করছেন ‘কুকুর তেওহর’ নামক উৎসব।

০২ ০৮

এই উৎসব নেপালের গুরুত্বপূর্ণ উৎসবগুলির মধ্যে অন্যতম। যেখানে বাড়ির সারমেয়কে পুজো করা হয় সাড়ম্বরে। নেপালের একটি ঐতহ্যবাহী উৎসব এটি। তবে ভারতীয় বংশদ্ভূত নেপালিরাও এই উৎসবে সামিল হন। বাড়ির সারমেয়কে গলায় মালা দিয়ে, বরণ করা হয় মহা সমারোহে।

Advertisement
০৩ ০৮

প্রাচীনকাল থেকেই কুকুর মানুষের অন্যতম সঙ্গী। খারাপ, ভাল সব মুহূর্তেই পাশে থাকে এই পোষ্য। নেপালি হিন্দুরা বিশ্বাস করেন, ভৈরব ভগবানের সঙ্গে কুকুরের এক অন্তরাত্মার যোগ আছে। আর তার প্রতিই শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে কুকুরের পুজো করেন।

০৪ ০৮

এই দিনে পুরোহিতরা বাড়িতে এসে সারমেয়কে মালা ও তিলক দিয়ে সাজান এবং পুজো করেন। তা ছাড়া তাকে তার প্রিয় খাবারও খাওয়ান।

০৫ ০৮

এই উৎসবের সঙ্গে দু’টি পৌরাণিক কাহিনি যুক্ত রয়েছে। নেপালিরা বিশ্বাস করেন, কুকুর ভগবান ভৈরবের বাহন। ভগবাব ভৈরবকে খুশি করতেই এই বিশেষ তিথিতে কুকুরের পুজো করা হয়।

০৬ ০৮

আবার মনে করা হয়, মৃত্যুর দেবতা ভগবান যমের শ্যামা এবং শরভরা নামে দু’টি কুকুর আছে, যারা নরকের দরজা পাহারা দেয়। কুকুর তেওহরের সময় তাই কুকুরের পুজো করে তাদের তুষ্ট করা হয়।

০৭ ০৮

আবার নেপালে লোকবিশ্বাস, কুকুর তেওহরের দিন কুকুরের পুজো করলে মানুষ মৃত্যুর পর নরকের হাত থেকে রক্ষা পাবেন।

০৮ ০৮

শুধু কুকুর নয়, এই দিন কাকেরও পুজো করা হয় যেহেতু কাক ভগবান যমের দূত। এটি ‘কাগ তেওহর’ নামেও পরিচিত। উৎসবের সময় মাংস এবং অন্যান্য খাবার দেওয়া হয় কাকেদের। এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement