ছবি সংগৃহীত
প্রায় ৩০০ বছর আগের কথা। প্রাচীন মন্দিরবাজারের দক্ষিণ বিষ্ণুপুর শ্মশান লাগোয়া জঙ্গলে তান্ত্রিক মণিলাল চক্রবর্তী শুরু করলেন কালীপুজো। স্বপ্নাদেশ পেয়ে টালির চালের মন্দির বানিয়ে দেবীর আরাধনা শুরু করেছিলেন তিনি। যদিও তখন বছরে একবারই পুজো হত। পরে স্বপ্নে মা কালী নিত্যপুজোর ইচ্ছা প্রকাশ করলে পাকাপাকিভাবে মায়ের মন্দির গড়ে তোলা হয়।
তখন ১০৮টি নরমুণ্ড উৎসর্গ করে এই মন্দির বানানো হয়, সামনে ছিল পঞ্চমুণ্ড আসন। এখনোও মন্দিরে ঢুকলে দেবীর পিছনে দেখা যাবে ১০৮টি নরমুণ্ড। তারপর থেকেই পূজিত হয়ে আসছেন করুণাময়ী কালী। এখনও গঙ্গায় স্নান করে ১০৮টি জবাফুল নিবেদন করা হয় ১০৮টি নরমুণ্ডকে।
কালীপুজোর দিন আজও হাজারে হাজারে মানুষ আসেন এই মূর্তি দর্শন করতে। তন্ত্র মতে পুজো হয় এখানে। এক সময় নরমুণ্ড উৎসর্গ করা হলেও আজ বলিপ্রথা ভীষণ ভাবে নিষিদ্ধ এই পুজোয়। বরং কালীপুজোর দিন কাঁচা মাংস, ছোলা, মদ নিবেদন করা হয় ডাকিনী-যোগিনীকে। শিয়াল ভোগও দেওয়া হয়।
শত শত বছর আগে এখানে শব সাধনা করা হত। তবে আজও এই শ্মশানে ঢুকলে গা ছমছম করে ওঠে।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।