দক্ষিণ ভারতে, দীপাবলির দিনটি শ্রীকৃষ্ণের বিজয় দিবস হিসেবে পালিত হয়। নেপথ্যে রয়েছে পৌরাণিক কাহিনি।
শক্তিশালী রাক্ষসরাজা নরকাসুরের বিরুদ্ধে ভগবান কৃষ্ণের বিজয়ের গল্পটিও দীপাবলির বিশেষ তাৎপর্য বহন করে।
মহাভারত অনুসারে নরকাসুরকে ব্রহ্মা আশীর্বাদ দিয়েছিলেন, তিনি কেবল তাঁর মায়ের হাতেই মৃত্যুবরণ করতে পারেন। এ ছাড়া তাঁকে মেরে ফেলার ক্ষমতা কারও নেই।
মায়ের প্রতি তাঁর গভীর ভালবাসার কারণে নরকাসুর বিশ্বাস করেছিলেন, তাঁর মা তাঁকে কখনওই হত্যা করবেন না।
পুরাণ অনুসারে, নরকাসুরের মা, কৃষ্ণের স্ত্রী সত্যভামা হিসাবে পুনরায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
সত্যভামা কৃষ্ণকে নরকাসুরের বিপক্ষে যুদ্ধের জন্য রাজি করান। কৃষ্ণ এবং সত্যভামা গরুড়ে উঠে নরকাসুরের রাজ্য আক্রমণ করেন। কৃষ্ণ নরকাসুরের সেনাপতি ‘মুরাসুর’ কে বধ করেন ও ‘মুরারী’ বলে পরিচিত হন
সত্যভামা দেখেছিলেন, নরকাসুর তাঁর স্বামী কৃষ্ণকে যুদ্ধে পরাজিত করতে নানা কৌশল অবলম্বন করছেন। প্রচুর রক্তক্ষয় হয়েছিল সে যুদ্ধে।
অবশেষে শ্রীকৃষ্ণ নরকাসুরকে যুদ্ধে পরাজিত করেন।
মৃত্যুকালে, নরকাসুর অনুরোধ করেছিলেন, যেন কেউ তাঁর মৃত্যুতে শোক পালন না করে, পরিবর্তে তাঁর মৃত্যু উদযাপন করা হবে।
আলো, রং আর আতশবাজি দিয়ে এই মৃত্যু যেন মহাসমারোহে উদযাপিত হয়। এই ছিল রাক্ষস নরকাসুরের শেষ ইচ্ছা।
সেই তখন থেকেই প্রতি বছর দীপাবলি শ্রীকৃষ্ণের বিজয় উৎসব ও নরকাসুর হত্যার দিন হিসেবে পালিত হয়ে আসছে দক্ষিণ ভারতে।