হাতে আর মাত্র চার দিন। তার পরেই এই শহর তথা এই গোটা দেশ মেতে উঠবে শক্তির আরাধনায়। মেতে উঠবে আলোর উৎসবে। কারণ দয়াময়ী মা আসছেন ঘরে।
তিনি নগ্না। তাঁর গলায় মুণ্ড মালা। তাঁর হাতে খড়্গ। মুখে কখনও তেজ কখনও হাসি। তিনি সংহারক আবার তিনিই পালন কত্রী। আগামী ১২ নভেম্বর রবিবার, অমাবস্যা তিথিতে হবে তাঁর আরাধনা।
তাঁকে নিয়ে গল্পেরও শেষ নেই। কোথাও তিনি পূজিতা হন দক্ষিণা কালী রূপে, তো কোথাও আবার শশ্মান কালী। কোথাও গায়ের রং সাদা, তো আবার কোথাও তিনি নীলবর্ণা।
কেবল দেবী কালীকা নয়, এই দিন বাংলার ঘরে পূজিত হন দেবী লক্ষীও। যা আবার দীপান্বিতা লক্ষীপুজো নামে পরিচিত।
অনেকেই মনে করেন মা কালী নাকি খুব জাগ্রত। তাই তাঁর পুজোর বিধিতেও রয়েছে নানা নিয়ম। সময় মেনে নিষ্ঠা ভরে পুজো না করলে, ভক্ত জনে মনে করেন, পড়তে হতে পারে মায়ের কোপে। আবার ঠিক সময়ে মায়ের শুদ্ধ মনে মায়ের আরাধনা করতে পারলেই আপনিও লাভ করতে পারেন মায়ের আশীর্বাদ।
কখন শুরু এই বছরের অমাবস্যা? কোন সময়টি ভাল এ বারের পুজোর জন্য? জানা আছে কী? এই প্রতিবেদনে রইল তার নির্দেশ।
বেণীমাধব শীলের পঞ্জিকা মতে, এই বছর কালীপুজো রবিবার, ১২ নভেম্বর। অমাবস্যা তিথি শুরু রবিবার ১২ নভেম্বর, দুপুর ২টো বেজে ৪৪ মিনিটে। অমাবস্যা তিথি থাকছে ১৩ নভেম্বর, সোমবার ২ টো ৫৬ মিনিট পর্যন্ত।
এই অমাবস্যাতেই হয় মায়ের আরাধনা। তবে যখন তখন নয়। মায়ের আরাধনার জন্যও রয়েছে নির্দিষ্ট সময়। সেই সময়কে বলে নিশীথ সময়।
নিশীথ সময়ে আরাধনা করা হয় দেবী কালিকার। এই বছর নিশীথ সময় শুরু ১২ নভেম্বর রাতেই। থাকছে ১৩ নভেম্বর কিছুক্ষণ।
১২ নভেম্বর রাত ১১টা ৩৯ মিনিটে শুরু নিশীথ সময়ের। থাকছে রাত ১২টা পেরিয়ে আর অল্পক্ষণ। ১২টা ৩২ মিনিট অবধি। অর্থাৎ মাত্র ৫৩ মিনিট নিশীথ সময় থাকছে এই বছর। এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।