ঘড়ি পরার চল এখন কমে গিয়েছে, নিন্দুকেরা এমনটাই বলবেন। কারণ সময় তো মোবাইলেই দেখা যায়, তা হলে আর দেওয়ালে কেন, কেনই বা হাতঘড়ি উপহার দেবেন প্রিয়জনকে? কিন্তু বাড়িকেই যদি ঘড়ি-ঘর করে তোলা যায়? ঘড়িতেই যদি সেজে ওঠে বাড়ির একটা অংশ? কেমন হবে?
সময় যেন থমকে দাঁড়িয়ে আপনার বাড়িতে, বন্ধু-অতিথিদের আপ্যায়নের আগে মজা করে এমনটা বলতেই পারেন আপনি। দেখে নিন কী কী খেয়াল রাখতে হবে সে ক্ষেত্রে-
দেখে নিতে হবে ঘড়ির আকার ঘরের আকারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কি না! বিশেষত যে দেওয়ালে ঘড়ি রাখছেন, সেই দেওয়ালের আকারের সঙ্গে মানানসই হওয়া দরকার।
আরও পড়ুন: পুরনোকে আসবাবে নতুন স্বাদ অ্যান্টিক অন্দরসজ্জা
বাজারে বিভিন্ন আকারের কাঠের ঘড়ি পাওয়া যায়
ঘড়ির রংও গুরুত্বপূর্ণ। যেমন সাদা দেওয়ালের উপরে কাঠের ঘড়ি বা কাঠের দেওয়ালে মেটাল ফ্রেমের ঘড়ি বেশ আকর্ষক দেখায়।
ঘরের আসবাবের সঙ্গেও ঘড়ির গড়ন ও গঠন মানিয়ে রাখবেন।
ফোটো ফ্রেমের ঘড়ি ভাল লাগে আপনার? তা হলে ফ্রেমে পারিবারিক ছবি রাখতে পারেন। সকাল ছ’টা থেকে শুরু করে প্রত্যেক ঘণ্টায় ছুঁয়ে যাবে আপনার পরিবারের একটি করে ছবি।
• রাখতে পারেন মিরর ওয়াল ক্লক। এতে আলোর প্রতিফলনে ঘরে আলোও ছড়িয়ে পড়বে।
• প্রজাপতি থেকে শুরু করে গাছ, পেঁচা, বাড়ি ইত্যাদি বিভিন্ন আকারের কাঠের ঘড়িও পেয়ে যেতে পারেন। বেছে নিন পছন্দমতো।
• ঘরে রং আনতে চাইলে কালার স্কিমের ঘড়ি রাখুন। লাল, সবুজ, নীল ইত্যাদি বিভিন্ন প্যাস্টেল শেডের ওয়াল ক্লক ভাল লাগে ঘরে।
• বড় ঘরে গ্র্যান্ডফাদার ক্লক বা পেন্ডুলাম ক্লকও রাখতে পারেন। সময় কাটবে নস্ট্যালজিয়ায়।
আরও পড়ুন: দক্ষিণের জানলা যেন একমুঠো খোলা হাওয়া
এ ছাড়াও থাকছে ডেস্ক ক্লক, ডিজ়াইনার, থ্রিডি ওয়াল ক্লক। বাড়ি অনুসারে বেছে নিতে পারেন। ঘরের একটা দেওয়াল সাজিয়ে ফেলুন হরেক রকম ঘড়িতে। তবে খেয়াল রাখবেন, ঘড়িগুলির মধ্যে যেন সামঞ্জস্য থাকে।