আঠারোদের অন্দরমহল। টিন এজ যদিও আর একটু আগে থেকেই আরম্ভ হয়, তাই আঠারোর আবেদনের কথা মাথায় রেখেই এই গর সাজানোয় হাত দিন।
এই সময়ের ছেলে-মেয়েরা সাধারণত একটু অভিমানী হয়। এক দিকে পড়ার চাপ সঙ্গে অন্য দিকে কিছু শিল্পকলা, খেলাধূলা বা কিছু সৃজনশীল কাজের সঙ্গে জড়িয়ে থাকলে তার চাপ— সবে মিলে সারা দিন কাজের পর ওরাও একটু প্রাইভেসি চায়। এই বয়সের ছেলেমেয়েদের অন্দরমহলের সাজগোজ করার সময় মনে রাখতে হয়, কী করে নিজের একটা জগৎ গড়ে তোলা যায় এই ঘরটির মধ্যে দিয়ে।
অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি কিংবা অর্নামেন্টাল ইন্টিরিয়ার ডিজাইনিং এই বয়সের ছেলেমেয়েরা খুব একটা পছন্দ করে না। ওরা চায় ছিমছাম কিন্তু বেশ রুচিসম্মত অন্দরসাজ। আর তাই ঘরের অন্দরসাজের সময় আসবাবপত্রে খুব বেশী কারুকাজ, বা ঘরে খুব বেশি বা ভারী কাজ করা যাবে না। বরং ছিমছাম, সহজ, সরল এবং মনকাড়া অন্দরসাজই এই বয়সি ছেলেমেয়েরা পছন্দ করে।
এই বয়সী ছেলেমেয়েদের ঘরের খাট অবশ্যই প্রমাণ মাপের করা দরকার। একা থাকলে আমরা সিঙ্গল খাট করে দেওয়ার কথা ভাবি, সেটা কিন্তু একেবারেই ঠিক নয়। কারণ কাজের চাপে তারা বিছানায় শোয়ার সুযোগই কম পায়, কিন্তু যখন শোয় বা বিশ্রাম করে তখন আরাম করার জন্য অনেকটা জায়গা লাগে তাদের। তা ছাড়া খাটে শুয়ে বা বসে তাদের প্রয়োজনীয় সব কাজ সারতে চায়।
আরও পড়ুন: পুজোর আগেই সন্তানের ঘরকে সাজিয়ে তুলুন এ ভাবে
খাটের পাশে বেডসাইড টেবিল তো থাকবেই, হাতের কাছে সুইচ বোর্ডও যেন অবশ্যই থাকে। এবং তাতে প্লাগ পয়েন্ট থাকাটা খুবই আবশ্যিক। অনেক সময় অষ্টাদশী ছেলেমেয়েরা বিছানায় বসে ল্যাপটপে কাজ করে অনেক ক্ষণ ধরে। তাই বিছানায় বসে বসে ল্যাপটপ চার্জ দিয়েও অনেকে দরকারি কাজ যাতে সারা যায়, সে ব্যবস্থা করতে হবে। তাই বিছানার পাশের প্লাগ পয়েন্টটা দরকারি।
আঠারোদের অন্দরমহলে জিনিসপত্র রাখার জায়গা যথেষ্ট পরিমাণে থাকাটা দরকার। আলমারি বা ওয়ার্ডরোবের নীচের দিকে ড্রয়ার থাকলে অনেক কিছু রাখার সুবিধে পাওয়া যায়। সাজার জায়গা বা ড্রেসিং ইউনিট অষ্টাদশীর অন্দরসজ্জার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। ড্রেসিংয়ের জায়গাটা বেশ চওড়া হওয়াটা বাঞ্চনীয়। খাটের পাশে যেখানে বেড সাইড টেবিল থাকে সেখানে ড্রেসিংয়ের জায়গা বানিয়ে নেওয়া যায়। নীচের দিকে ড্রয়ার থাকবে। মোটামুটি আড়াই ফুট উচ্চতা থেকে আয়না শুরু হয়ে উচ্চতায় প্রায় সাড়ে ছ’ফুট পর্যন্ত উঁচু হতে পারে আয়না।
আরও পড়ুন: স্টোরেজ বাদ দিলে ঘরকে পরিষ্কার রাখা কঠিন, নজর দিন সে দিকে
টিনএজারদের ঘরের রং এনার্জেটিক হওয়া দরকার। আলোর ক্ষেত্রেও তাই। ঘরে যেন প্রচুর পরিমাণে আলো ও হাওয়াবাতাসের ব্যবস্থা থাকে।