বাড়ির ভিতরে আকাশ কিংবা সমুদ্র, জঙ্গল বা পাহাড়, নদী কিংবা মরুভূমি, রূপকথা থেকে কার্টুনের জগৎ— এর সবটাই ফুটিয়ে তোলা যায় খুব সহজে। এই পুরো ভাবনাটা থিম-নির্ভর হয়। অর্থাৎ যে ঘর বা অন্দরসজ্জা যে থিমের উপর নির্ভর করে সাজিয়ে তোলার কথা ভাবছেন, পুরো ঘরটাতেই সেই ভাবনার ছোঁয়া থাকবে। এই থিমভিত্তিক ঘরের অন্দরসজ্জা মূলত বাচ্চাদের ঘর বা অল্পবয়সি অর্থাৎ টিনএজারদের রুম বা অন্য কোনও বিশেষ ক্ষেত্রে করা হয়ে থাকে।
ধরা যাক, সঙ্গীত শিল্পীর জন্য একটি ঘর— যেখানে শুধু বাদ্যযন্ত্র নয়, পুরোটাই সেজে উঠবে সঙ্গীতের মতো করে, বা কোনও খেলোয়ারের ঘর, যেখানে তার মনের সঙ্গে ঘরের ভাবনাও জুড়ে যাবে। এ সব ক্ষেত্রে অন্দরসজ্জা হবে এরকম থিমনির্ভর।
পড়তে ভালবাসেন? দেওয়ালের নকশায় থাকুক তারই প্রতিফলন
ঘরের আসবাবপত্রের সঙ্গে ঘরের রং, পর্দা এ রকম সবকিছুর মধ্যেই একটা থিমের সামঞ্জস্য থাকতে হবে এ ধরনের সজ্জায়। যেমন একটি ছোটদের ঘর যদি আন্ডারওয়াটার মানে সমুদ্রের তলার মতো সাজিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়, তা হলে খাট, সোফা, সাইড টেবিল থেকে শুরু করে পড়ার টেবিল, আলমারি এমনকি জানলার পর্দা বা দেওয়ালে প্যানেলিং, রং সবের মধ্যেই সেই গভীর সমুদ্রের ছোঁয়া থাকা দরকার।
আরও পড়ুন: টিনএজ সন্তানের ঘর সাজানোর আগে মাথায় রাখুন এ সব জরুরি বিষয়
আসবাবপত্রে থিমের ছোঁয়া চাই। আর আসবাবপত্র সাজিয়ে তোলার সময় থিমের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সম্ভব হলে কিছু ডিজাইনও করে নেওয়া যায়। এর পর তো রয়েছেই ঘরের দেওয়ালে আর্টিস্টিক পেন্টিং করে থিমের বিষয়বস্তু ফুটিয়ে তোলা। তবে থিম বাছার সময় যাদের জন্য এ ঘর তৈরি করছেন, তাদের বয়স এবং রুচিবোধটুকু জেনে নেওয়া দরকার। তা হলে থিম বাছতেও সুবিধে হবে।
দেওয়ালের নকশায় ফুটিয়ে তুলুন এক টুকরো সমুদ্র
আরও পড়ুন: অতিথির ঘরের অন্দরসজ্জায় মেনে চলুন এ সব নিয়ম
থিম ডিজাইনের জন্য দেওয়ালের মধ্যে প্যানেল করাটা খুবই দরকার। কাঠ বা প্লাই ব্যবহার করে সেই কাঠ বা প্লাইয়ের ডিজাইনের মধ্যে থিমের বিষয়বস্তু ঢুকিয়ে দেওয়া গেলে ভাল। প্রয়োজনে মেজের রং ও নকশাও দেওয়ালের সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রেখে করুন। তবে তিম যাই হোক, সিলিং সব সময়ই হালকা রঙের করবেন। দেওয়ালে আঁকাতে না চাইলে থিমভিত্তিক ওয়ালপেপার ব্যবহার করুন।