ধন-সম্পদের দেবী লক্ষ্মী। কোজাগরী পূর্ণিমার রাতে উপবাস করে তাঁর আরাধনা করার রীতি রয়েছে।
সম্পদ বৃদ্ধির জন্য এবং জীবনে সুখ আনতে চাই মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ। কোজাগরীর রাতে তার জন্য বিশেষ পুজো ও প্রার্থনা করতে হয়।
পুরাণ অনুযায়ী এই পবিত্র দিনে দেবী লক্ষ্মী এবং চন্দ্র দেবতার পুজো করা শুভ।
এই দিনে পায়েস তৈরি করে সারা রাত চাঁদের আলোয় রেখে পরের দিন প্রসাদ হিসেবে খেলে স্বাস্থ্য ভাল থাকে এবং সুখ-সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়।
হিন্দুধর্মে বিশ্বাস বলে, এই পূর্ণিমার রাতে কিছু বিশেষ নিয়ম মেনে চললে প্রেমজীবনে মধুরতা বাড়ে এবং আর্থিক সমস্যা দূর হয়।
পুজোর সময় ৫টি পান পাতার উপরে একটি করে লবঙ্গ, এলাচ, সুপারি এবং মুদ্রা রাখুন।
পুজোর পরে লাল কাপড়ে লবঙ্গ, এলাচ, সুপারি ও মুদ্রা বেঁধে ঘরে টাকা রাখার নিরাপদ স্থানে রাখুন। মনে করা হয় যে এই নিয়ম মানলে খুব শীঘ্রই আর্থিক সঙ্কট দূর হয়।
কোজাগরী পূর্ণিমার রাতে দেবী লক্ষ্মীর মূর্তি বা ছবির সামনে ৫টি ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালান এবং পদ্মাসনে একটি পশমের আসনে বসুন।
এর পরে দেবী লক্ষ্মীর ধ্যান করার সময়ে ‘ওম শ্রীম হ্রীম শ্রীম কমলে কমলালায়ে প্রসিদ প্রসিদ শ্রীম হ্রীম শ্রীম ওম মহালক্ষ্মী নমঃ’ মন্ত্রটি ১১ বার জপ করুন। এতে আপনার জীবনে ভাল কিছু ঘটবে।
শাস্ত্র অনুসারে, দেবী লক্ষ্মী মাখানা খুব পছন্দ করেন। কারণ এটি জল থেকে উদ্ভূত, বিশুদ্ধ এবং সাদা।
কোজাগরীর সন্ধ্যায় বা রাতে দেবীকে মাখানা নিবেদন করুন। পরিবারে সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি ও সৌভাগ্য বৃদ্ধি পাবে।
পূর্ণিমার সন্ধ্যায় পুজোর জন্য ময়দা মাখুন এবং ৫,৭ অথবা ১১টি প্রদীপ তৈরি করুন। সমস্ত প্রদীপে ঘি দিন এবং প্রতিটিতে একটি করে লবঙ্গ রাখুন।
তার পরে দেবী লক্ষ্মীর আরাধনার সময়ে প্রদীপগুলি জ্বালান এবং আপনার ইচ্ছে বা সমস্যার কথা বলুন। মা লক্ষ্মীর কৃপায় শীঘ্রই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন এবং আপনার ইচ্ছা পূরণ হবে।
কোজাগরীর রাতকে কোজাগরা অথবা মধুমাস বলা হয়।
প্রাচীন প্রথা অনুসারে, পূর্ণিমার রাতে স্বামী-স্ত্রী একত্রে চাঁদের আলোয় থাকলে দম্পতির মধ্যে প্রেম এবং সাহচর্য বৃদ্ধি পায়। জীবনে প্রেমের রোমাঞ্চ অটুট থাকে। এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।