শীতের সময়ে রুক্ষতা বাড়ে বহু গুণ। ত্বক ফাটার সমস্যা তো চিরন্তন। এর পাশাপাশি ত্বক ফেটে, স্কিন ফ্লেকিং, এগজিমার মতো সমস্যাও দেখা যায়। কিন্তু শীত পড়ার আগেই যদি ত্বকের খেয়াল রাখা যায়, তা হলে ত্বক ফাটা এবং সেই জাতীয় নানা শীতকালীন সমস্যা থেকে অনেকটাই রেহাই পাওয়া যাবে। ত্বক ফাটার সম্ভাবনা তৈরি হলে, ত্বকে টান ধরার উপক্রম হলে আগে থাকতেই ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করা জরুরি।
এ ক্ষেত্রে ওয়াটার বেসড কোনও ময়শ্চারাইজার না ব্যবহার করে অয়েল বেসড ময়শ্চারাইজারের ওপরে ভরসা করা যেতে পারে। যাঁরা সারা দিনের কোনও সময়ে ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করতে স্বচ্ছন্দ বোধ করেন না, তাঁরা নির্দ্বিধায় কোনও অয়েল বেসড নাইট ক্রিম লাগাতে পারেন।
তার কারণ হল ওয়াটার বেসড ক্রিম ত্বকের ওপর যে ক’টা পরত তৈরি করতে পারেন, তার চেয়ে ঢের বেশি পরত তৈরি করে ত্বককে সুরক্ষা দেয় অয়েল বেসড ময়শ্চারাইজার। তবে আবার সেই ধরনের ময়শ্চারাইজার যদি অ্যাভোকাডো অয়েল, মিনারেল অয়েল, আমন্ড অয়েল, শিয়া অয়েল জাতীয় কোনও তেল দিয়ে তৈরি হয়, তা হলে উপকার আরও বেশি। আবার ক্রিমে গ্লিসারিন, সরবিটল কিঙ্গাবে আলফা হাইড্রক্সি অ্যাসিড থাকলে ব্যবহার করা যেতে পারে তা-ও।
সূর্যের রশ্মি গ্রীষ্ম কালের হোক অথবা শীত কালের, ক্ষতি করে ত্বকের। তাই সানস্ক্রিন যে শুধু গ্রীষ্মকালেই ব্যবহার করা উচিত, তা ভাবা ঠিক নয় মোটেও। বাইরে বেরোনোর অন্তত পক্ষে ৩০ মিনিট আগে মুখে, হাতে এবং শরীরের অন্যান্য জায়গা যা সূর্যালোকের সংস্পর্শে সরাসরি আসে, সে সব জায়গায় অতি অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত।
মুখের ত্বক নিয়ে যত বেশি মানুষ মাথা ঘামান, ততটা কেউই হাতের ত্বক ভাবেন না। অথচ হাতের ত্বকও শীতকালে ভীষণ রুক্ষ হয়ে পড়ে। কিন্তু হাতে ভাল করে ময়শ্চারাইজার মাখা দরকার। হাতে যখনই রুক্ষ বোধ হবে, তখনই অল্প ক্রিম লাগিয়ে নিন।