একে সামনে পুজো, তায় মাসের শেষ! অফিসের দায়ভার সামলাতে গিয়ে আপনিও বুঝে পাচ্ছেন না, কী ঘরোয়া রুপটানে টুকটাক টিপস ও টোটকা কী করে বজায় রাখবেন! তাই তো? আপনার মুসকিল আসান করতে এগিয়ে এলেন রুপটান শিল্পী শর্মিলা সিংহ ফ্লোরা।
হাতে বাকি মাত্র তিনদিন! শর্মিলা বললেন, ‘‘এখন নতুন করে ঘরোয়া কিছু ত্বকচর্চা বা রূপচর্চা শুরু করে কোনও লাভ পাবেন না। বরং আপনার পাশের মানুষটি পার্লার থেকে ঝাঁ চকচকে রুপচর্চা করে এসেছে দেখলে আপনি আরও হতাশ হয়ে পড়বেন!’’
তাঁর মতে, তৃতীয়া ও চতুর্থী এই দুই দিন হচ্ছে ত্বক চর্চা ও কেশ চর্চার জন্য আদর্শ। বাড়িতে ঘরোয়া টোটকা ব্যবহারের বদলে তার মতে পার্লার গিয়ে গোল্ড বা পার্ল ফেসিয়াল, ভিটামিন সি ফেসিয়াল, ট্যান পরিষ্কার করার ফেসিয়াল করিয়ে নিন। পুজোর জন্য এর থেকে ভাল কিছুই হতে পারে না।
সারা বছর চুলকে যতই অবহেলা করুন না কেন, পুজোর সময় মোলায়েম ও চকচকে চুলের জন্য চাই ভাল কোনও কেয়ার। তৃতীয়া বা চতুর্থীর দিন কেশ চর্চারও আদর্শ সময়।
শ্রীমতী ফ্লোরা জানাচ্ছেন, ‘‘কেরাটিন ট্রিট্মেন্ট, হেয়ার বোটক্স, ন্যানো, হেয়ার স্পা ইত্যাদি নানা রকমের কেয়ার পেতে পারেন আপনার চুলের জন্য। এতে যে শুধু সাময়িক ভাবে আপনার চুল কয়েক দিন সুন্দর দেখাবে তাই নয়, পার্লারে গিয়ে দক্ষ মানুষদের হাতে এই রকম ট্রিটমেন্ট করিয়ে নিলে প্রায় তিন থেকে ছয় মাস ভাল থাকবে আপনার চুল।’’
পঞ্চমী ও ষষ্ঠী, এই দুই দিন তিনি ধরেছেন শেষ মুহুর্তের কোনও টাচ আপ বা ওয়াক্সিং ইত্যাদির জন্য।
যাঁরা চুলে রং করেন, এই দুই দিন চুলের রং টাচআপ করার জন্য উপযুক্ত সময়।
তার পাশাপাশি খুব আগে থেকে ওয়াক্সিং করিয়ে রাখলে আবার রোম উঠে আসতে পারে হাতে ও মুখের নানা জায়গায়। তাই তাঁর মতে ভ্রু প্লাক বা ওয়াক্সিং জাতীয় কাজ এই দু’দিনে সেরে ফেললে পুজোর সময় কোনও ঝঞ্ঝাট থাকে না।
একই বিষয় তিনি বললেন চুলের সেটিং নিয়ে। চুল ছোট হোক কী বড়, ভাল মতো সেটিং করার জন্য আদর্শ সময় হল এই দু’দিন।
খুব আগে থেকে চুলের সেটিং করাতে গেলে পুজো আসার আগেই তা অনেক সময় নষ্ট হয়ে যায়। তাই চুলের সেটিং করিয়ে নিন এই সময়ে।